হাওড়া : একটি নয়, একই পরিবারের চারজনকে খুন করা হয়েছে এক রাতেই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ায়। অভিযোগ উঠেছে পরিবারের ছোট ছেলে দেবরাজের বিরুদ্ধে। কিন্তু আদালতে বিস্ফোরক দাবি করলেন দেবরাজের স্ত্রী পল্লবী। তাঁর দাবি, রাগের মাথায় খুন করেছেন তিনি। শুধু চারজন কেন, রাগ হলে আরও কয়েকজনকে খুন করে ফেলতে পারেন তিনি। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল বলে জানা গিয়েছে। সম্ভবত তার জেরেই খুন। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার পল্লবী ঘোষকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাওড়ার এমসি ঘোষ লেন এলাকার ঘটনা। বুধবার রাতে ওই খুনের ঘটনা ঘটে। দেবরাজস ও পল্লবী ওই পরিবারের ছোট ছেলে ও পুত্রবধূ। ঘটনার রাতে চিৎকার শুনে ওই বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন তাঁদের খুড়তুতো ভাই সুব্রত ঘোষ। তিনি দাবি করেছেন, পল্লবী ও দেবরাজ দুজনের হাতেই ছিল ধারাল অস্ত্র। এলোপাথাড়ি কোপ মারছিলেন তাঁরা। পরে দেখা যায় ঘরের ভিতর পরপর পড়ে রয়েছে চারজনের দেহ। মৃত্যু হয়েছে দেবরাজের মা মাধবী ঘোষ, তাঁর দাদা দেবাশিস, বৌদি রেখা ও ভাইঝি তৃষ্ণার।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক দেবরাজ। তাঁর স্ত্রীকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। এ দিন আদালতে তিনি জানান, একবার রেগে গেলে সে রাগ আর সামলাতে পারেন না তিনি। মাথায় রক্ত উঠে যায়। রাগ হলে পুলিশকেও ভয় পান না বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। তিনি বলেন, ‘চার জন কেন, আরও কয়েক জনকে খুন করতে পারি।’
প্রতিবেশীদের দাবি, পরিবারের বড় ছেলে দেবাশিস বরাবরই পরিবারের সব খরচ দিতেন। ফলে বাবা তাঁর প্রতি একটি বেশি সদয় ছিলেন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বড় ছেলেকে বেশ কিছু টাকাও দিয়েছিলেন বাবা শিশির ঘোষ। এরপর থেকেই অশান্তি শুরু। বড় ছেলে দেবাশিস এই নিয়ে থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার সেই ঝামেলা চরম আকার নেয়। এরপরই ওই খুনের ঘটনা ঘটে।