হাওড়া: দশজন কিশোরকে পাচারের ছক। চলন্ত ট্রেন থেকে গ্রেফতার দুই ব্যক্তি। উদ্ধার হয়েছে দশজন কিশোরও। অভিযুক্তদের নাম মহম্মদ আবদুল্লাহ ও সঞ্জয় কুমার। জিআরপির পক্ষ থেকে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে শিশুশ্রম বিরোধী আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিভিন্ন ধারায় মামলা শুরু করেছে রেল পুলিশ।
রেল সূত্রে খবর, সোমবার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আরপিএফ-এর অফিসে ফোন করে। একটি বার্তা আসে। সেই বার্তায় বলা হয় মোজাফফরপুর-সম্বলপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে দশজন কিশোরকে শিশু শ্রমিক হিসাবে খাটানোর জন্য দক্ষিণ ভারত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখনই আরপিএফ-এর একটি তদন্তকারী দল পাকুর স্টেশনে এক্সপ্রেসটিকে দাঁড় করায়। এরপর তন্ন-তন্ন করে শুরু হয় তল্লাশি।
ট্রেনে তল্লাশি চলাকালীন মহম্মদ আবদুল্লাহ এবং সঞ্জয় কুমার নামে ২ পাচারকারীকে হাতেনাতে পাকড়াও করে আরপিএফ। দু’জনের বাড়ি মালদার কালিয়াচক এবং বিহারে চম্পারন জেলায়। আরপিএফ সূ্ত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানায়, পাচারকারীরা ওই কিশোরদের বেঙ্গালুরু এবং বিজয়নগরে শিশু শ্রমিক হিসাবে পাঠানোর জন্য। পরে তাঁদের সাঁইথিয়া স্টেশনের জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়।