Domjur Firing: ‘জলের লাইন নিয়ে ঝগড়া, আচমকাই পকেট থেকে পিস্তল বের গুলি চালিয়ে দিল…’

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 18, 2022 | 8:38 PM

Howrah: মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। সাঁপুইপাড়া পঞ্চায়েতের তরফে ১২ নম্বর পোল এলাকায় বাড়ি বাড়ি জলের লাইন দেওয়া হচ্ছিল।

Domjur Firing: জলের লাইন নিয়ে ঝগড়া, আচমকাই পকেট থেকে পিস্তল বের গুলি চালিয়ে দিল...
আতঙ্কিত এলাকার লোকজন। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

হাওড়া: জলের লাইন দেওয়া ঘিরে গোলমাল। তার জেরে এলাকারই এক যুবকের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার এই অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম বাধে ডোমজুড়ের নিশ্চিন্দার সাঁপুইপাড়ায়। অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। যদিও জিজ্ঞাসাবাদের সময় গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন ওই যুবক। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের নিশ্চিন্দার সাঁপুইপাড়ার ১২ নম্বর পোল এলাকায় জলের লাইন দেওয়া হচ্ছিল বাড়ি বাড়ি। অভিযোগ, এই নিয়ে রমেশ চৌধুরী নামে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশীদের গোলমাল বাধে। এরপরই রমেশ পকেট থেকে বন্দুক বের করে শূন্যে ২ রাউন্ড গুলি চালায়। প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ রমেশকে আটক করে।

মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। সাঁপুইপাড়া পঞ্চায়েতের তরফে ১২ নম্বর পোল এলাকায় বাড়ি বাড়ি জলের লাইন দেওয়া হচ্ছিল। তারক মাহাতো নামে এলাকার এক যুবকের অভিযোগ, যখন সকলের বাড়িতে জলের লাইন দেওয়ার কাজ শুরু হয়, তখন রমেশ নামে এলাকার এক যুবক দাবি করেন তাঁর বাড়িতে আগে জলের লাইন দিতে হবে। তখন প্রতিবেশীরা জানান, আগে পরে নয়, নিয়মানুযায়ী পর পর বাড়িতে জলের লাইন দেওয়া হবে। অভিযোগ, তখনই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রমেশ। তিনি পঞ্চায়েতের যে সমস্ত শ্রমিকরা জলের লাইনের জন্য বাড়ি বাড়ি পাইপ বসাচ্ছিলেন, গালিগালাজ করতে থাকেন। এমনকী মারধরও করেন বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে প্রতিবেশীদেরও খারাপ কথা বলতে থাকেন।

স্থানীয় এক মহিলার অভিযোগ, বচসা চলাকালীনই প্রতিবেশী মহিলা ও শিশুদের সামনেই রমেশ পকেট থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বার করে উপরের দিকে তাক করে। শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালানোর পাশাপাশি মাটিতেও এক রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এতেই এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হইহই পড়ে যায় ১২ নম্বর পোল এলাকায়। এর পরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ এসে আটক করে রমেশকে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত আটকে রাখা হয় তাঁকে। যদিও রমেশের দাবি, তিনি এরকম কোনও ঘটনা ঘটাননি। মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। এর সঙ্গে গ্রাম্য রাজনীতির কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এলাকার বাসিন্দা অনামিকা চক্রবর্তী অধিকারী বলেন, “রমেশ চৌধুরীকে গুলিটা ছোড়ার পরই ওনার ছেলে হাত থেকে বন্দুকটা নিয়ে নেয় এবং তাঁকে ঘরে নিয়ে যায়। পুলিশ রমেশ চৌধুরীকে ধরে নিয়ে গেলেও বন্দুকটা নাকি শুনছি পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা সবাই খুবই ভয়ে আছি। যখন তখন যা কিছু হতে পারে। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছেন উনি। ভাঙচুর, ক্ষয়ক্ষতি করেছেন।”

আরও পড়ুন: COVID 19 Bulletine: বাংলাকে স্বস্তি দিচ্ছে পজিটিভিটি রেট, গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে ৭ শতাংশ

Next Article