হাওড়া: মেয়ে খুন হওয়ার পর প্রথম থেকেই জামাইয়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছিলেন অনুশ্রী হাজরার বাবা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর স্বামী চন্দন মাজিকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। গত রবিবার হাওড়ার ডোমজুড়ে যে খুনের ঘটনা ঘটে, তাতে চন্দনের জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল গত কয়েকদিন ধরে। শেষমেষ খুন করার কথা নিজে মুখেই স্বীকার করলেন চন্দন। স্ত্রীকে খুন করার পর কোথায় ছুড়ে ফেলেছিলেন বন্দুক, সেটাও এদিন নিজেই দেখিয়ে দিলেন তিনি। আপাতত পুকুরে চলছে আগ্নেয়াস্ত্র খোঁজার কাজ। অনুশ্রী ও চন্দনের বিবাহ-বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যেই কেন ওই দিন দুজনের দেখা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অনুশ্রীর স্বামী জানিয়েছেন পুরনো আক্রোশের জেরেই খুন করেন তিনি। এ কথা স্বীকার করে নেওয়ার পর চন্দনকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে যান ডোমজুড় থানার পুলিশ। ঠিক যেখান থেকে অনুশ্রী হাজরার মৃদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তার থেকে কিছুটা দূরেই একটি বড় পুকুরের সামনে চন্দনকে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি জানান, খুন করার পর আগ্নেয়াস্ত্রটি ছু়ড়ে ফেলে দিয়েছিলেন পুকুরে।
পুলিশ এরপর জাল ফেলে সেগুলো পুকুর থেকে তোলার চেষ্টা করে। পরে ডুবুরিও নামানো হয়। বিকেলে পুকুর থেকে মোবাইল উদ্ধার করা হয়, তবে এখনও পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রবিবার অর্থাৎ ঘটনার দিন অনুশ্রী যে সাইকেলে চেপে চন্দনের বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেটি সলপের একটি গ্যারাজ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর পুলিশের কাছে অধরা।
রবিবার বিকেলে বন্ধুর বাড়িতে যাবে বলে বেরিয়েছিলেন অনুশ্রী। এরপর কেন ওরকম একটি নির্জন অন্ধকার জায়গায় গেলেন অনুশ্রী ও চন্দন? সেখানে আর কেউ কি ছিলে? কোন আক্রোশ থেকে খুন করা হল? অনুশ্রীর চোখই বা রুমাল দিয়ে বাঁধা হল কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।