হাওড়া: নিত্যদিন অশান্তি চলছিল বাড়িতে। বড় বৌদির সঙ্গে স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি স্ত্রী। অন্তত তেমনটাই দাবি পরিবারের। যার জেরেই সংসারে অশান্তি টরম পর্যায়ে পৌঁছয়। আর তারপরই ভয়ানক কাণ্ড। অভিযোগ, রাগের বসে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী।
ঘটনাস্থল হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুর। পুলিশ সূত্রে খবর মৃত মহিলার নাম দিপালী মাঝি (২৪)। অভিযুক্ত স্বামী হলেন প্রত্যুষ মাঝি (২৮)। অভিযোগ, প্রত্যুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বড় বৌদির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা কোনও ভাবে জানতে পেরে যান স্ত্রী দিপালী। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি তিনি। আর তার পরেই শুরু হয় সংসারে অশান্তি। শুক্রবার সেই অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছলে স্ত্রীকে পিটিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। এমনটাই দাবি দিপালীর বাপের বাড়ির সদস্যদের।
এরপরই উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। অভিযোগ, মৃতের পরিবারের সদস্যরা এলাকায় ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে এলাকায় পৌঁছয় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। নামাতে হয় র্যাফও। পুলিশ আটক করে স্বামী প্রত্যুষ ও বড় জা অমিমা মাঝিকে (৩৩)।
পরিবার সূত্রে খবর, প্রত্যুষ মাঝির সঙ্গে দিপালীদেবীর প্রায় ৯ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। দম্পতির পাঁচ বছরের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। মৃতের পরিবারের লোকজন বলেন, “মেয়েচাকে বলেছিলাম ঘর করতে হবে না। ও বলেছিল বিয়ে একবারই হয়। ওর জা টা ঘর করতে দেয় না। যখনই অশান্তি হত ওর সব জা-রা দরজা বন্ধ করে জোর করে মিটমাট করিয়ে দিত। ওরা মেয়েটাকে মেরে ফেলল।”