Howrah: এই স্কুলে যেতে ভয় পায় শিশুরা, ভিতরেই রয়েছে ‘বড়’ বিপদ

Subrata Banerjee | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 23, 2024 | 2:41 PM

Howrah: অভিভাবকদের দাবি, এই স্কুলের অবস্থার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও রকম সুবিধা হয়নি। শিশুদের মা-বাবাদের অভিযোগ, ঘটনায় যে কোনও মুহূর্তে স্কুলের ছাদ ও দেয়াল ভেঙে পড়ে যেতে পারে। যার জেরে স্কুলের পড়ুয়ারা যে কোনও সময় দুর্ঘটনায় শিকার হতে পারে।

Howrah: এই স্কুলে যেতে ভয় পায় শিশুরা, ভিতরেই রয়েছে বড় বিপদ
হাওড়ার স্কুলে আতঙ্ক
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

জগৎবল্লভপুর: সালটা ২০০৯। তখন তৈরি হয়েছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। ছোট-ছোট শিশুরা এখন সেই স্কুলে যেতেই ভয় পায়। শুধু তারা কেন। মা-বাবারাও স্কুল পাঠিয়ে আতঙ্কিত। কার্যত বিপদ মাথায় নিয়ে পড়াশোনা করে তারা সেখানে। কারণ কোথাও ঝুলছে চাঙড়। কোথাও আবার দেওয়ালে ধরেছে চিড়। ফলে স্কুলে ছেলে-মেয়েকে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন না অভিভাবকরা।

হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের ইছানগরী পশ্চিমপাড়ায় ২০০৯ সালে তৈরি হয়েছিল অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলটি। বর্তমানে সেই স্কুলেরই ভগ্নদশা। অধিকাংশ জায়গা গিয়েছে ভেঙে। দেওয়ালে ধরেছে ফাটল। ছাদে ঝুলতে থাকা সিমেন্টের প্লাস্টার যে কোনও মুহূর্তে খসে পড়ছে। এরই মাঝে ছোট ছোট শিশুদের সঙ্গে নিয়ে ক্লাস চালাচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।

অভিভাবকদের দাবি, এই স্কুলের অবস্থার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও রকম সুবিধা হয়নি। শিশুদের মা-বাবাদের অভিযোগ, ঘটনায় যে কোনও মুহূর্তে স্কুলের ছাদ ও দেয়াল ভেঙে পড়ে যেতে পারে। যার জেরে স্কুলের পড়ুয়ারা যে কোনও সময় দুর্ঘটনায় শিকার হতে পারে। এ প্রসঙ্গে অভিভাবক শফিকুল বলেন, “স্কুলের যা অবস্থা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রিস্ক নিয়ে পড়াশোনা করে। অর্ধেক মা-বাবা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠায় না। একে তো রিস্ক। তারপর এখানে পড়াশোনাও হয় না ঠিক মতো।”

এ দিকে, এই ঘটনায় অভিভাবকরা জানিয়েছেন তারা শিশুদের পঠন-পাঠন চালিয়ে যেতে চাইছেন। তবে কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত স্কুল সারানোর ব্যবস্থা নেন। আর স্কুলের এই অবস্থার কথা কার্যত শিকার করে নেন অঙ্গনওয়াড়ি এক কর্মী। অর্পিতা মিশ্র তিনি বলেন, “২০০৯ সালে স্কুল হয়েছে। তারপরই ভেঙে পড়ে রয়েছে। অভিভাবকরাও পাঠাতে চাইছে না ভয়ে। আমরা একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছি। প্রায় চল্লিশজন বাচ্চা আসে এই স্কুল পড়তে। বৃষ্টি পড়লে ছাদ দিয়ে জল পড়ে। দরজা ভেঙে গিয়েছে। চেন দিয়ে আমরা বেঁধে রেখেছি। এই অবস্থা অনেকেই এসে দেখে গিয়েছেন প্রতিকার হয়নি।”

Next Article