হাওড়া: পাঁচ ঘণ্টা ধরে টানা তল্লাশি চলে। তখনও খোঁজ মিলছিল না তাঁর। বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষাও করছিলেন কয়েকজন সহকর্মী। যাঁদের কিনা পরের শিফটেই মিলে ঢোকার কথা ছিল তাঁদের। বরাত জোরে বেঁচেছেন বটে, কিন্তু সহকর্মীদের হারিয়েছেন তাঁরা। পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশির পর শুক্রবার সকালে হাওড়ার হনুমান জুটমিলের ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছে নিখোঁজ এক শ্রমিকের দেহ। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। মুখের ওপর পড়ে ছিল পাথর, কাঠ। থেঁতলে গিয়েছে মুখ। শরীরের বাকি অংশের অবস্থাও মারাত্মক। প্রথমে তাঁকে শনাক্ত করাই সম্ভব হচ্ছিল না। পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম নিখিল সর্দার। তিনি বাঁকুড়ার বাসিন্দা। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে হাওড়ার ঘুসুড়িতে হনুমান জুট মিল ভেঙে পড়ে। প্রায় ২০০০ বর্গফুট জুড়ে থাকা এই কারখানা। কিন্তু অভিযোগ, সেই কারখানার ভবন অত্যন্ত পুরনো। তা মেরামতিও করেনি কর্তৃপক্ষ। জীর্ণ ভবনের ছাদ ভেঙে পড়ে ভোরে। ঠিক সে সময়েই শিফট বদলের কথা ছিল। অর্থাৎ নাইট শিফটের কর্মীদের বেরনোর কথা ছিল, আর মর্নিং শিফটের কর্মীদের ঢোকার। সেই মুহূর্তেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল ছাদ।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছিলেন শ্রমিকরা। ঘটনার সময়ে অন্ততপক্ষে ৪ জন শ্রমিকের খোঁজ মিলছিল না। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে এক জন ছিলেন নিখিলও। মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শ্রমিকরা।