হাওড়া: ফের রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন সিপিএম নেতারা। হাওড়া পুরসভা থেকে বালি পুরসভা আলাদা হয়ে যাওয়া ও বালিতে ভোট না হওয়ার প্রক্রিয়া থাকার জন্য ফের রাজ্য সরকারকেই দায়ী করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
শনিবার বালিতে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সেলিম। সেখানে মঞ্চে বলতে উঠে তিনি বলেন, ‘বালি পুরসভা এখন চোরা বালির মধ্যে চলে গিয়েছে। এজন্য দায়ী রাজ্যের সরকার। রাজ্য সরকারের অপদার্থতার জন্যই বালির মানুষ নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বালির ঐতিহ্যকে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।’
এরপর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে আরও জানান, ‘নির্বাচন না হওয়ার জন্য এই পুরসভা কিছু কন্ট্রাক্টর ও গুন্ডাদের হাতে চলে গিয়েছে। আইন মোতাবেক বালি পুরসভায় নির্বাচন হয়ে তা আবার সাধারণ মানুষের হাতে ফিরে আসুক। এখানকার নাগরিকরা ফিরে পান সঠিক পুর পরিষেবা।’ এ দিন বালিতে পতিত পাবন পাঠক শ্রমজীবী ক্যান্টিনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছিল একটি অনুষ্ঠান ও পদযাত্রা। এই পদযাত্রাতেই নেতৃত্ব দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক।
বালির দাওনগাছি কার্যালয় থেকে শুরু করে বেলুড় লালাবাবু সায়র রোডের দলীয় কার্যালয়ে শেষ হয় এই মিছিল। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন সেলিম। বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ডামাডোলে টাকার থলি নিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। এরাজ্যে মুকুল রায়কে দিয়ে তৃণমূল যে খেলায় নেমেছিল মহারাষ্ট্রও বিজেপি সেই খেলাই খেলছে। এখানে চিটফান্ডের টাকা বিলিয়ে ছিল তৃণমুল, ওখানে আদানি-অম্বানিদের টাকায় বিজেপি এসব করছে।’
এছাড়াও সম্প্রতি সিউড়িতে যেভাবে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তাকে সিভিক শিক্ষক বলেও তির্যক মন্তব্য করেন। বলেন, ‘সিভিক পুলিশ ছিল আগেই। পরে সিভিক সেনাও দেখলাম আর এবার সিভিক শিক্ষক দেখতে হবে। চরম অন্যায় হচ্ছে রাজ্যে।’
এই অনুষ্ঠানে মহম্মদ সেলিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, মীনাক্ষী মুখার্জি, শতরূপ ঘোষ, দীপ্সিতা ধর সহ আরও অনেক বাম নেতৃত্ব।