নবান্ন: সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক চলছিল। আদিবাসী উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই বৈঠক শেষে যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। আচমকা তাঁর গাড়ির সামনে চলে আসেন এক ব্যক্তি। সঙ্গে পুলিশের হাতে আটক সে।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম শেখ সমীরুল (৩৫)। সোমবার কোনও অনুমতি ছাড়াই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। এরপরই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক আধিকারিকরা তাঁকে শিবপুর থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি কাপড় ব্যবসায়ী। তবে কিন্তু লকডাউনের সময় থেকে সেই ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। সমীরুলের স্ত্রী-ও তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। সব মিলিয়ে মানসিক অবসাদ ছিল তাঁর। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
যদিও, হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে নয়। নবান্ন সভাঘর থেকে মন্দিরতলার দিকে যাওয়ার পথে পোস্টের পাশে এক যুবক এসে দাঁড়িয়েছিল। বারবার সে ঘোরাফেরা করছিল। তার হাতে বেশ কিছু কাগজ ছিল। পুলিশ তাকে ঘুরতে দেখে জিজ্ঞাসা করতে গেলে সে জানায় যে, কিছু কাগজ মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়ার আছে তার কথা অসংলগ্ন ছিল। এরপর তাকে শিবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও একবারও ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় ঘটনাস্থল ছিল হুগলি। ডানকুনির টোল প্লাজার সামনে আসতেই আচমকা ডানকুনি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শুভজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একটি খয়েরি খাম হাতে মমতার গাড়ির সামনে এগিয়ে যান। সেই সময় চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগীর নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়কে রাস্তা করে দিচ্ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। তখনই শুভজিৎ এই কাণ্ড ঘটানোয় কার্যত ক্ষুব্ধ হন পুলিশ কমিশনার।