Petrol Pump: শনিবার বিকেলের পর হু হু করে তেল ফুরিয়ে যেতে পারে কলকাতা-হাওড়া-হুগলির পেট্রোল পাম্পে
Kolkata: এক ট্যাঙ্কার চালক অভিযোগ করেন, রাস্তায় পুলিশ যখন-তখন ধরে তাঁদের কেস দিচ্ছে এবং মোটা টাকা ফাইন করছে। নানাভাবে হেনস্থা করছে বলেও অভিযোগ তাঁর।

মৌরিগ্রাম: কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সহ প্রায় গোটা দক্ষিণবঙ্গে পেট্রোল পাম্পগুলিতে দেখা দিতে পারে জ্বালানি তেলের সঙ্কট। তেলের ডিপোয় চলছে কর্মবিরতি। ফলে কোথাও তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। কর্মবিরতি না উঠলে পেট্রোল সরবরাহ হওয়ার সম্ভাবনা কম। আর তাতেই তেল ফুরিয়ে যেতে পারে দক্ষিণবঙ্গের পাম্পগুলিতে।
পুলিশি নোটিসের বিরুদ্ধে হাওড়ার মৌরিগ্রামে তেলের ডিপোয় চলছে কর্মবিরতি। শনিবার সকাল থেকেই ট্যাঙ্কার চালক এবং খালাসিরা মৌরিগ্রাম ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপোয় কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে তেল সরবরাহ বন্ধ। এর প্রভাব পড়তে পারে কলকাতা, হাওড়া, নদিয়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। যদি এই কর্মবিরতি চলতে থাকে, তাহলে শনিবার বিকালের পর পেট্রোল পাম্পগুলি ড্রাই হয়ে যেতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সম্প্রতি দ্বিতীয় হুগলি সেতু এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে মেরামতি এবং নির্মাণ কাজের জন্য হাওড়া সিটি পুলিশের তরফ থেকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে মৌরিগ্রামের ট্যাংকার চালক এবং খালাসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত অয়েল ট্যাঙ্কার যেতে পারে। বাকি সময়ে জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আগে নিয়ম ছিল সকাল ৯টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ট্যাঙ্কার চলাচল বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল মাত্র তিন ঘণ্টার। আর এখন মাত্র চার ঘণ্টা ট্যাঙ্কার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই এই প্রতিবাদ। শুধু তাই নয়, এক ট্যাঙ্কার চালক অভিযোগ করেন, রাস্তায় পুলিশ যখন-তখন ধরে তাঁদের কেস দিচ্ছে এবং মোটা টাকা ফাইন করছে। নানাভাবে হেনস্থা করছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এরই প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে ট্যাঙ্কারে তেল তোলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে ওই ডিপোতে কমপক্ষে ৩০০ ট্যাঙ্কার আটকে পড়ে রয়েছে।
এদিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট প্রসেনজিৎ সেন বলেন, “পুলিশের নতুন নির্দেশের ফলে তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। ট্যাঙ্কারে তেল ওঠা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শনিবার বিকেলের পর থেকে হাওড়া, কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার পেট্রোল পাম্পগুলি ড্রাই হতে শুরু করবে।” এমনকী কলকাতা এয়ারপোর্টেও তেল সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার এবং প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন ট্যাঙ্কার মালিকরা। তাঁরা চাইছেন, এই কর্মবিরতি উঠে যাক, না হলে ব্যবসায় মার খাবেন।
