Howrah : ‘ইঞ্জেকশন দিতেই চোখ-মুখ কালো হয়ে গেল’, কিশোরীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ হাসপাতালে

Subrata Banerjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 03, 2023 | 10:13 PM

Howrah :যদিও পরিবারের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Howrah : ‘ইঞ্জেকশন দিতেই চোখ-মুখ কালো হয়ে গেল’, কিশোরীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ হাসপাতালে
হাসপাতালে বিক্ষোভ

Follow Us

হাওড়া: চোদ্দ বছরের এক কিশোরীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা হাওড়া (Howrah) জেলা হাসপাতালে (Hospital)। সানা পরভিন নামে মৃত ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির জন্যই তাঁদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার দুপুরে কিশোরীর পরিবারের লোক ও পাড়া-প্রতিবেশী-সহ প্রায় ২০০ জন হাওড়া জেলা হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ঢুকে সেখানে থাকা চিকিৎসক ও নার্সদের গালিগালাজ, হেনস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাওড়া থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ছুটে আসে হাসপাতালে। হাসপাতালে ছুটে যান হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরাও। মোতায়েন করা হয় ব়্যাফ। 

যদিও পরিবারের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই কিশোরী সারা শরীরে জল জমা নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এমনকী টিবিও ধরা পড়েছিল। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হওয়ায় কার্যত চিকিৎসার সময়ই পাননি চিকিৎসকরা। চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। মৃতের পরিবারের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ 

সূত্রের খবর, ডোমজুড়ের বাঁকড়ার ছোটো পেয়াদাপাড়ার বাসিন্দা সানা পরভিনকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। তার এক্স-রে, সিটি স্ক্যানও হয়। তখনই ধরা পড়ে ওই কিশোরীর বুকে জল জমে রয়েছে। কিন্তু কিশোরীর দিদি গুলসন বেগমের অভিযোগ, ‘‘আমার বোনকে জং ধরা সূচ দিয়ে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। স্যালাইন দেওয়ার পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ইঞ্জেকশনটা দেওয়ার পরেই নখ এবং চোখ মুখ কালো হয়ে যায়। চিকিৎসায় গাফিলতিতেই ওর মৃত্যু হয়েছে।” তাঁর আরও দাবি, বোনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বারবার ডাক্তার এবং নার্সদের ডাকাডাকি করা হলেও তারা কোনও কর্ণপাত করেননি। তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করা হয় বলে অভিযোগ তাঁর।  প্রসঙ্গত, বাঁকড়ার পেয়াদাপাড়ার বাড়িতে ৮ বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল সানা। তাঁর বাবা-মা নেই। তার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার।

Next Article