হাওড়া: প্রায় কোটি টাকা রাখা ছিল এক ব্যবসায়ীর দোকানে। এরপর সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই হলো গণ্ডগোল। আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় গুঁজে, হাত-পা বেঁধে তিন দুষ্কৃতী সেই টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। তবে গোটা ঘটনাটি ধরা পড়ে যায় সিসিটিভি ক্যামেরায়। ফের দিনে-দুপুরে ডাকাতির ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ায়। বারবার কেন একই ঘটনা হচ্ছে তাই নিয়ে আইন-শৃঙ্খলার উপর যথেষ্ঠ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার বেলা এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে হাওড়া ব্যাঁটরা থানা এলাকার বেলিলিয়াস রোড শিল্পাঞ্চলে। ওই ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ বর্মা। তাঁর লোহার দোকান। এবার ব্যবসায়িক সংক্রান্ত লেনদেনের কারণে প্রায় এক কোটি টাকা এদিন রাখা ছিল দোকানের মধ্যে। এরপর বেলা হতেই তিন যুবক সশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ করে তার দোকানে। ক্যামেরায় দেখা যায় ওই ডাকাতদের হতে রয়েছে বন্দুক ও বোমা। রীতিমত আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দেয় তারা দিলীপবাবুকে। এরপর হাত-পা বেঁধে লুঠ করে নিয়ে যায় নগদ সেই এক কোটি টাকা।
তবে যাঁরা এসেছিল তাঁরা কেউ পূর্ব পরিচিত নয় বলে দাবি ওই ব্যবসায়ীর। দিলীপবাবু বলেন, “হঠাৎ দুটো তিনটে লোক বন্দুক, বোমা দেখিয়ে দোকানে ঢোকে। তারপর হাত-পা বেঁধে আমায় হুমকি দিতে থাকে যে মুখ খুললেই নাকি বোমা মারবে। তারপর আমার কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ওরা।” গোটা ঘটনাটির ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে ডাকাতির পরে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় তাদের সঙ্গে আসা চারচাকা গাড়ি ও তার চালক। ইতিমধ্যেই ব্যাঁটরা থানার পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষজনকে। সঙ্গে সিসিটিভির ছবি দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কিত স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত বিগত কয়েক মাস ধরেই হাওড়া শহর এবং শিল্পাঞ্চল একাধিক দুষ্কৃতীর কাজকর্মের সাক্ষী থেকেছে। কখনও আইনজীবীকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কোপানো কখনো বা তৃণমূল নেতাকে রাস্তায় গুলি করে খুন করা বা ভিক্ষার নামে গৃহবধূকে অত্যাচার করে সর্বস্ব লুট করা। ফলে একের পর এক দুষ্কৃতীমূলক কর্মকাণ্ড হাওড়া জুড়ে চলতে থাকায় আতঙ্কিত এখানকার সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে পুলিশের নজরদারি নিয়েও।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
হাওড়া: প্রায় কোটি টাকা রাখা ছিল এক ব্যবসায়ীর দোকানে। এরপর সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই হলো গণ্ডগোল। আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় গুঁজে, হাত-পা বেঁধে তিন দুষ্কৃতী সেই টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। তবে গোটা ঘটনাটি ধরা পড়ে যায় সিসিটিভি ক্যামেরায়। ফের দিনে-দুপুরে ডাকাতির ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ায়। বারবার কেন একই ঘটনা হচ্ছে তাই নিয়ে আইন-শৃঙ্খলার উপর যথেষ্ঠ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার বেলা এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে হাওড়া ব্যাঁটরা থানা এলাকার বেলিলিয়াস রোড শিল্পাঞ্চলে। ওই ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ বর্মা। তাঁর লোহার দোকান। এবার ব্যবসায়িক সংক্রান্ত লেনদেনের কারণে প্রায় এক কোটি টাকা এদিন রাখা ছিল দোকানের মধ্যে। এরপর বেলা হতেই তিন যুবক সশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ করে তার দোকানে। ক্যামেরায় দেখা যায় ওই ডাকাতদের হতে রয়েছে বন্দুক ও বোমা। রীতিমত আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দেয় তারা দিলীপবাবুকে। এরপর হাত-পা বেঁধে লুঠ করে নিয়ে যায় নগদ সেই এক কোটি টাকা।
তবে যাঁরা এসেছিল তাঁরা কেউ পূর্ব পরিচিত নয় বলে দাবি ওই ব্যবসায়ীর। দিলীপবাবু বলেন, “হঠাৎ দুটো তিনটে লোক বন্দুক, বোমা দেখিয়ে দোকানে ঢোকে। তারপর হাত-পা বেঁধে আমায় হুমকি দিতে থাকে যে মুখ খুললেই নাকি বোমা মারবে। তারপর আমার কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ওরা।” গোটা ঘটনাটির ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। তবে ডাকাতির পরে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় তাদের সঙ্গে আসা চারচাকা গাড়ি ও তার চালক। ইতিমধ্যেই ব্যাঁটরা থানার পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষজনকে। সঙ্গে সিসিটিভির ছবি দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কিত স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত বিগত কয়েক মাস ধরেই হাওড়া শহর এবং শিল্পাঞ্চল একাধিক দুষ্কৃতীর কাজকর্মের সাক্ষী থেকেছে। কখনও আইনজীবীকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কোপানো কখনো বা তৃণমূল নেতাকে রাস্তায় গুলি করে খুন করা বা ভিক্ষার নামে গৃহবধূকে অত্যাচার করে সর্বস্ব লুট করা। ফলে একের পর এক দুষ্কৃতীমূলক কর্মকাণ্ড হাওড়া জুড়ে চলতে থাকায় আতঙ্কিত এখানকার সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে পুলিশের নজরদারি নিয়েও।