Robotic Scavenger: হাওড়ায় নামল রোবোট-যন্ত্র, ম্যানহোলের পাঁক তুলছে নিমেষে…
Howrah: গত বছর কেরলে এরকমই রোবোটিক স্ক্যাভেঞ্জারের উদ্বোধন হয়। কেরল প্রথম রাজ্য যারা ম্যানহোল পরিষ্কার করতে রোবোটিক স্ক্যাভেঞ্জারের সাহায্য নিয়েছে। মূলত রোবোটিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েই এই যন্ত্র চালানো হয়। এবার এ রাজ্যেও ব্যবহার হবে রোবোটিক স্ক্যাভেঞ্জারের।
হাওড়া: মাঝ রাস্তায় দাঁড় করানো অত্যাধুনিক এক যন্ত্র। সুইচ টিপলেই ড্রেন, ম্যানহোল থেকে অনায়াসে তুলে আনছে নোংরা, বর্জ্য, পাঁক। হাওড়া পুরনিগম এমন যন্ত্র রাস্তায় নামিয়ে একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। পুর সাফাই কর্মীরাই এই কাজ করেন। কিন্তু ড্রেন বা ম্যানহোলের ভিতর বিষাক্ত গ্যাস থাকায় এই কাজ ঝুঁকিবহুল। তাই এই ঝুঁকি এড়াতেই এবার যন্ত্রের সাহায্য নিচ্ছে হাওড়া পুরনিগম। বুধবার হাওড়ার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিয়াপাড়ায় এই রোবোটিক স্ক্যাভেঞ্জারের উদ্বোধন করেন হাওড়ার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী।
গত বছর কেরলে এরকমই রোবোটিক স্ক্যাভেঞ্জারের উদ্বোধন হয়। কেরল প্রথম রাজ্য যারা ম্যানহোল পরিষ্কার করতে রোবোটিক স্ক্যাভেঞ্জারের সাহায্য নিয়েছে। মূলত রোবোটিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েই এই যন্ত্র চালানো হয়। এবার এ রাজ্যেও ব্যবহার হবে রোবোটিক স্ক্যাভেঞ্জারের।
মুখ্যপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, “আমরা সবসময়ই চেয়েছি ম্যানহোলের মধ্যে যাতে মানুষকে নামতে না নয়। আমাদের রাজ্যে প্রথম হাওড়া পুরনিগমই বড় ড্রেন বা ম্যানহোল পরিষ্কারের জন্য এই যন্ত্র ব্যবহার করছে। আপাতত টিকিয়াপাড়া এলাকার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে এই যন্ত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে। ভাল কাজ হলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় আমরা এই যন্ত্রের ব্যবহার করব।”
একটি বেসরকারি সংস্থা এই রোবোটিক স্ক্যাভেঞ্জার তৈরি করছে। চুক্তির ভিত্তিতে এই যন্ত্র ব্যবহার করার জন্য দিচ্ছে পুরনিগমকে। যন্ত্রটিতে রয়েছে ক্যামেরাও। মুখ্য প্রশাসকের কথায়, ১৫ মিনিটের মধ্যে বড় ড্রেন কিংবা ম্যানহোলের পাঁক পরিষ্কার করে দেবে এই রোবটিক যন্ত্র।