হাওড়া: শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো চালু হল সোমবার। বৃহস্পতিবার থেকে সাধারণের জন্য শুরু হয়ে যাবে পরিষেবা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এদিন হাওড়া ময়দান থেকে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর এই নতুন পথের সূচনা করেন। কিন্তু এদিনও রাজনৈতিক বিতর্ক থামল না। রেলের তরফে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম ছিল তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের। রাজ্যের এত বড় প্রকল্প, অথচ তার পথ চলা শুরু হল, যেদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শহরের বাইরে। এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসৌজন্যতার অভিযোগ আনে শাসকদল। এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিল না। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এ নিয়ে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
স্মৃতি ইরানি এদিন বলেন, “উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণপত্রে তৃণমূল সাংসদ, বিধায়কদের নাম ছিল। কেন ওনারা আসেননি তার জবাব ওনারাই দিতে পারবেন।” এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমি দু’টো দফতরের রিভিউ করতে গিয়ে দেখেছি, রাজ্যের মন্ত্রী ও পদস্থ সচিবরা ব্যস্ত রয়েছেন। দুই দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি জানিয়েছেন, তাঁদের সময় নেই। তাই জুনিয়র অফিসারদের সঙ্গেই বৈঠক করতে হল।”
প্রসঙ্গত, এদিন হাওড়া ময়দানের অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধিই ছিলেন না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও মেট্রো রেলের পদস্থ আধিকারিকরা ছিলেন। স্মৃতি ইরানির বক্তব্য, যেখানে রাজ্যের মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে থাকে, সেখানে আমন্ত্রণ কোনও বড় ব্যাপার নয়। যদিও এদিন সকালে সমবায় মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অরূপ রায় জানান, সকাল ১১টার সময় তাঁদের কাছে আমন্ত্রণপত্র আসে। এই আমন্ত্রণকে ‘অপমানজনক’ বলেন তিনি।
পাশাপাশি অরূপ রায় বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে যে অনুষ্ঠানে যথাযথভাবে আমন্ত্রণ না করে অপমান করা হয় সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। অপরদিকে এদিন হাওড়ায় টাউনহলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে স্মৃতি ইরানির বক্তব্য নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যাদের পায়ের তলার মাটি নেই, তাদের এসব বলা উচিত নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সঙ্গে আছেন। এর আলাদা সার্টিফিকেট স্মৃতি ইরানিকে দিতে হবে না। দশ কোটি মানুষ তাঁকে ভোট দিয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মান করা মানে দশ কোটি মানুষকে অপমান করা।”