হাওড়া: শ্যামপুরকাণ্ডে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। তিন অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। শ্যামপুর থানার পুলিশ, উলুবেড়িয়ার এসডিপিও, হাওড়ার গ্রামীণ জেলার এসপির যৌথ উদ্যোগে করা হয়। ছিলেন হাওড়ার গ্রামীণ জেলার অ্যাডিশন্যাল এসপি ইন্দ্রজিৎ সরকারও। ঘটনায় মূল তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল নিগৃহীতার। ধৃত তিন জনের মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবারই নিগৃহীতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। ছিলেন আরও দু’জন প্রতিনিধি। নিগৃহীতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। নিগৃহীতা ছাত্রী তাঁদের জানায়, ধৃত তিন দুষ্কৃতী এলাকায় এর আগেও অনেক মেয়েদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। তাঁদের কাছে ঘটনার রাতের বিবরণ দেন নিগৃহীতা। সুদেষ্ণা রায় বলেন, “পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা পাশে থাকব। এই পরিবারের দুটি মেয়ে। এই দুজনকেই কন্যাশ্রী দেওয়া হবে। এর সঙ্গে আরও কীভাবে পাশে থাকা যায়, তার চেষ্টা করব। তিন জনকে গ্রেফতার করেছে, তাদের যেন কঠোরতম শাস্তি হয়। পুলিশ বেআইনি মদের ঠেক গুলো যাতে তুলে দেয়, তার জন্য পুলিশের সঙ্গে কথা বলব।”
এদিকে, ঘটনাকে ঘিরে সরব রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির (BJP) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নতুন করে বুধবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শ্যামপুর। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে শ্যামপুর থানায় যান গ্রামবাসীরাও। পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। থানার ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। গোটা বিষয় নিয়ে এখনও তপ্ত শ্যামপুর।