হাওড়া: জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক কলেজ ছাত্রীর। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। অভিযোগ, এবার খোলামুখ নর্দমায় পড়ে মৃত্যু হল এক মাঝ বয়সী মহিলার। ফলত, ফের প্রশ্নের মুখে হাওড়া পুরসভা। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছেছে চ্যাটার্জীহাট থানার পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, যে শহরে জমা জলের এত সমস্যা, সেখানে খোলা হাইড্রেন থাকা কীভাবে যুক্তি সঙ্গত?
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সাত সকালে জানাগেট এলাকায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোডের ধারে খোলা হাইড্রেনে এক মাঝ বয়সী মহিলাকে ভাসতে দেখা যায়। বিষয়টি প্রথম নজরে আসে পুরসভার সাফাই কর্মীদের। নর্দমা পরিষ্কার করছিলেন তাঁরা। সেই সময় ড্রেনের ভিতর মহিলাকে দেখতে পান। খবর যায় চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশে কাছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলাও রুজু হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “সকালে আমি মর্নিং ওয়াকে যাচ্ছিলাম। দেখি চার-পাঁচজন ড্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি মাঝ বয়সী মহিলা হাই ড্রেনে মুখ উল্টে পড়ে রয়েছেন। পুলিশ সবে তখন এসেছে। মনে হচ্ছে পড়ে গিয়েছেন উনি।”
এ দিন, ঘটনার পরই হইচই পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ওই ড্রেনের মুখ খোলা অবস্থায় আছে। তার পাশ দিয়েই যাতায়াত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এলাকাবাসীর এও দাবি, কোনওভাবে ওই মহিলা পা পিছলে ড্রেনে পড়ে যায়। তার জেরেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন ড্রেনের খোলা মুখ বন্ধ হোক।
হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। এর দেখভালের দায়িত্ব ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার। তবে পুর এলাকার নিকাশী ব্যবস্থা ভাল রাখার জন্য হাইড্রেনের উপর ফাঁকা জায়গা রাখা হয়, যাতে পাম্পের সাহায্য জল বের করে দেওয়া যায়। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে।”