হাওড়া: যাচ্ছিলেন হাবড়া। বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে রওনা হয়েছিলেন ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের দিকে। ঘড়িতে তখন দুপুর প্রায় বারোটা। হাওড়ার ড্রেনেজ ক্যানেল রোডে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে কয়েকজন তৃনমূল কর্মী দলীয় পতাকা হাতে অপেক্ষা করছিলেন। দলে ছিলেন পিন্টু মণ্ডল। পরনে সাদা কাছা। মা হারিয়েছেন ক’দিন আগেই। হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে গাড়ি নিয়ে ঢোকার মুখেই তাঁকে দেখে দাঁড়িয়ে যান মমতা। বিষণ্ণ মুখে জানতে চান কী হয়েছে। কে মারা গিয়েছে? মমতাকে এইভাবে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখে শুরুতে কিছুটা হতবাক হয়ে যান পিন্টু। যদিও মুহূর্তেই নিজেকে সামলে নিয়ে ‘দিদির’ সঙ্গে কথা শুরু করেন।
মমতাকে মাতৃবিয়োগের কথা জানান পিন্টু। মৃত্যুকালে মায়ের কত বয়স হয়েছিল তাও জানতে চান মমতা। পিন্টু জানান। এরই তাঁকে সাবধানে থাকতে বলে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের দিকে এগিয়ে যান মমতা। এদিকে একজন সাধারণ কর্মীর সঙ্গে এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী কথা বলবেন তা ভাবতে পারেননি পিন্টুর সতীর্থরাও। মমতা চলে গেলেও চোখেমুখে তখনও তাঁদের বিস্ময়ের ছাপ স্পষ্ট। অভিভূত পিন্টু নিজেও।
পিন্টু বলছেন, “সাধারণ কর্মীদের জন্য যিনি ভাবেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সত্যি তিনি মা মাটি মানুষের গর্ব। আমরা অভিভূত।” প্রসঙ্গত, কখনও দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলা কখনও আবার উত্তরবঙ্গের কোনও জেলা, কখনও প্রশাসনিক সভা, কখনও রাজনৈতিক সভায় গিয়ে বরাবরই এক অন্য কায়দায় জনসংযোগে জোর দিতে দেখা গিয়েছে মমতা। কখনও সাধারণ চা-ওয়ালের দোকানে ঢুকে খেয়েছেন চা, মোমোও বানিয়েছেন নিজের হাতে। ফুচকা বানিয়ে খাইয়েছেন বাচ্চাদের। কোলে নিয়ে হাতে তুলে দিয়েছেন চকোলেট।