হাওড়া: প্রেমিক প্রাক্তন প্রধান, প্রেমিকা বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য। দু’জনেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। আগামী বছরই বিয়ের কথাও ছিল। কিন্তু, তার আগে সম্প্রতি আবার বিয়ে নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয় বলে খবর। এরইমধ্যে এদিন সকালে জগৎবল্লভপুরের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মৌসুমী পালের (৩৩) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকে। ঘটনায় তাঁর প্রেমিক তথা ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান গৌতম বেড়ার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মৌসুমীর বাড়ির সদস্যরা।
শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় মৌসুমীর। তারপর থেকেই তা নিয়ে এলাকায় চলছে চাপানউতোর। সূত্রের খবর, এদিন সকালে গৌতমই প্রথম মৌসুমীর বাড়িতে ফোন করেন। বলেন তাড়াতাড়ি দরজা ভেঙে যেন মৌসুমীকে উদ্ধার করা হয়। দরজা ভাঙতেই দেখা যায় গলায় দড়ি দিয়ে ততক্ষণে ঝুলছেন ওই তৃণমূল নেত্রী। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে গাববেরিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন পেশায় যোগ শিক্ষিকা মৌসুমীর সঙ্গে গৌতমের ভালবাসার সম্পর্ক দীর্ঘদিন থেকেই। চব্বিশ সালের প্রথম দিকে তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু, তার আগে এ ঘটনা কী করে ঘটলা তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের দাবি, গৌতমই তাঁদের মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন।
সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকে আর গৌতম বেরাকে এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইলেও যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে শোরগোল। যদিও এ বিষয়ে দল কোনও হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন পাঁচলার বিধায়ক গুলশান মল্লিক। তাঁর দাবি, পুলিশ-প্রশাসন গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। আইন আইনের পথেই চলবে।