হাওড়া: ইন্দাস, ভাঙড় থেকে ক্যানিং, মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসছে দফায় দফায় অশান্তির খবর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধীদের অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। এরইমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করেই বিজয়োল্লাসে মাতলেন তৃণমূল-কংগ্রেস কর্মীরা। সবুজ আবির মেখে খেললেন অকাল হোলি। এদিন এ ছবিই দেখতে পাওয়া গেল জগৎবল্লভপুর বিডিও অফিসের কাছে। এ নিয়ে কটাক্ষ করল সিপিএম (CPIM)।
এদিন পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রের জগৎবল্লভপুর ব্লকের ইসলামপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯টি আসন এবং ২টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারপরই বিডিও অফিসের বাইরে তৃণমূল কর্মীরা বিজয়োল্লাসে মেতে উঠেন। সবুজ আবির নিয়ে খেলতে থাকেন নিজেদের মধ্যে। যাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের দাবি তাঁরা জিতে গিয়েছেন। তাই তাঁরা আবির খেলছেন।
ফয়জান খান নামে এক তৃণমূল কর্মীর দাবি, বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা কোনও হস্তক্ষেপ করেননি। ভয়ও দেখাননি। তাঁদের স্পষ্ট কথা, রাজ্য সরকারের উন্নয়নকে সামনে রেখে তাঁরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আসন্ন নির্বাচনে জয়লাভের বিষয়েও আশাবাদী তাঁরা। ও পঞ্চায়েত গঠন করবেন। এদিকে এ ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে বামেদের। তাঁরাও ইতিমধ্যেই ওখানে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। বামেরাও এই এলাকায় জেতার বিষয়ে আশাবাদী।
রবিউল খা নামের স্থানীয় এক সিপিআইএম নেতা বলেন, “আমরাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। ভোটেও জিতব। কিন্তু, এখন তো ভোটের আগে তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের মধ্যে আবির খেলছে। আসলে এটা পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল। অন্য গোষ্ঠী টিকিট না পাওয়ায় আর এক গোষ্ঠী আনন্দে সবুজ আবির খেলেছে।”