হাওড়া: মঙ্গলবার সাত সকালেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন হাওড়া থেকে মুম্বইগামী সিএসএমটি মেল। হাওড়া থেকে ছাড়ার পর চক্রধরপুরের কাছে বেলাইন হয়ে যায় ট্রেননি। যার জেরে আহত বহু সংখ্যক যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দা নিমাই প্রামাণিক (৬৭) ও তাঁর ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রী। বৃদ্ধ দম্পতি মুম্বই যাচ্ছিলেন টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার জন্য। পথেই বাধ সাধে ট্রেন দুর্ঘটনা। গুরুতর আহত হন নিমাইবাবু। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
পরিবার সূত্রে খবর, যে সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই সময় বাথরুমে যাচ্ছিলেন নিমাইবাবু। আচমকা একটা ঝাঁকুনি হয়। গেট থেকে ছিটকে পড়েন বাইরে। গুরুতর চোট পান বৃদ্ধ। তবে কোনওমতে আবারও কোচে উঠে পড়েন তিনি। এ দিকে, তাঁর ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রী ততক্ষণে স্বামীকে ফোনে না পেয়ে ফোন করেন জামাই অচিন্ত্য দাসকে। পরে রেল কর্তৃপক্ষ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন নিমাইবাবু।
বৃদ্ধার জামাই অচিন্ত্য দাস বলেন, “ভোর চারটে নাগাদ ফোন করেন আমার শাশুড়ি মা। তিনি বলেন যে শ্বশুড়মশাইকে খুঁজে পাচ্ছেন না। ট্রেন দুর্ঘটনার খবরও জানান তিনি। ক্ষানিকবাদে আবারও ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান। শুনেছি বাবা কোমরে, বুকের পাঁজরে খুব চোট পেয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।” প্রসঙ্গত, এ দিন হাওড়া থেকে ট্রেনটি ছাড়ার পর চক্রধরপুরের কাছে যেতেই বেলাইন হয়ে যায় সিএসএমটি মেল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত বহু। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজে নেমেছে রেল কর্তৃপক্ষ।