Uluberia: কর্মস্থলেই ইয়ার্কি মারতে গিয়ে পায়ুদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে দিয়েছিল বন্ধু! প্রৌঢ়ের শরীরে যা পরিবর্তন হল, X-RAY রিপোর্ট দেখে শিউরে উঠছেন চিকিৎসকরাই

Supradeep Mondal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 17, 2025 | 2:03 PM

Uluberia: বারবার অন্যান্য শ্রমিকরা ইয়ার্কির নাম করে সাবিরকে উত্ত্যক্ত করতেন। সাবের বহুবার মিল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। তারপরও মিল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেননি। তাঁর আফসোস, যদি মিল কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ করতে তাহলে এইভাবে একটা প্রাণ যেত না।

Uluberia: কর্মস্থলেই ইয়ার্কি মারতে গিয়ে পায়ুদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে দিয়েছিল বন্ধু! প্রৌঢ়ের শরীরে যা পরিবর্তন হল, X-RAY রিপোর্ট দেখে শিউরে উঠছেন চিকিৎসকরাই
মৃত ব্যক্তি
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

উলুবেড়িয়া: রাতের শিফটে কাজ করছেন। ভোরে মিলের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বছর পঞ্চাশের ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে সহকর্মীরা আগে থেকেই ইয়ার্কি মারতেন। মাঝেমধ্যেই তা মাত্রা ছাড়া হত। সেকথা মিল কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রবিবার ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।  জুট মিলে কাজ করতে গিয়ে ইয়ার্কির ছলে এক বন্ধু আরেক বন্ধুর মলদ্বারে হাওয়ার পাইপ ঢুকিয়ে দেন বলে অভিযোগ। পেটের নাড়িভুড়ি ফেঁটে মৃত্যু হয় তাঁর। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার বাউড়িয়া নর্থ জুটমিলে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাবের মল্লিক (৫০)।

মৃত শ্রমিকের স্ত্রী মামুদা খাতুন জানান, বারবার অন্যান্য শ্রমিকরা ইয়ার্কির নাম করে সাবিরকে উত্ত্যক্ত করতেন। সাবের বহুবার মিল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। তারপরও মিল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেননি। তাঁর আফসোস, যদি মিল কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ করতে তাহলে এইভাবে একটা প্রাণ যেত না।

মৃত শ্রমিকের মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মিল কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে জেনারেল ডায়েরি করেছে। নৃশংস এই ঘটনায় স্তম্ভিক চিকিৎসকরাও। তাঁদেরও একাংশ বলছেন, এই ধরনের রোগী সাধারণত পাওয়া যায় না। যে পায়ুদ্বার দিয়ে হাওয়া ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে পেটের মধ্যে নাড়িভুড়ি ফেটে দলা পাকিয়ে যায়।

ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাবিরকে প্রথমে উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয় মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।  চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন,  তাঁকে প্রথমে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। ITU থেকে বিশেষ মেশিনও নিয়ে আসা হয়। ইনটিউবেশন  পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়। মুখের ভিতর থেকে নল ঢুকিয়ে শরীরে অক্সিজেন প্রবেশেরও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।