হাওড়া: ‘জয় শ্রী রাম স্লোগানে’র পর মঞ্চে ওঠেননি। তবে মঞ্চের বাম পাশ থেকেই সবুজ পতাকা উড়িয়ে ‘বন্দে ভারত’ এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর মায়ের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপনের পর শুক্রবারের কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই বলতে গিয়ে জানান, আজকের দিনটা তাঁর কাছে অত্যন্ত খুশির। কলকাতা মেট্রোর জোকা-তারাতলা তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনিই এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন। আজকের কর্মসূচির পাঁচটার মধ্যে অন্তত ৪ টি প্রকল্পই তাঁর সময়কালের বলে প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজকের দিনটা আমার জন্য অত্যন্ত খুশির। এটা আমার স্বপ্নের প্রজেক্ট। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, তখন তারাতলা-জোকা মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলাম। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা প্যাটেলও আমার সঙ্গে ছিলেন।”
কথা প্রসঙ্গে তিনি তাঁর তৎকালীন মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজনের নামও করেন। তিনি বলেন, “আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, কলকাতা পৌরসভার তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। জোকা ও তারাতলা মেট্রো স্টেশনের জন্য সমস্ত জমি তিনি তদারকি করে জোগাড় করেছিলেন। তৎকালীন নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও আমি এই কারণে ধন্যবাদ জানাতে পারি। এটা আমার স্বপ্নের প্রজেক্ট।”
এদিন আরও চারটি প্রজেক্টের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ডানকুনি-শক্তিগড়-চাঁপদানি বৈচি, আম্বানি ফালাকাটা করিডর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময়ে আমি বিষয়টি বাজেটে উল্লেখ করেছিলাম।” শুক্রবারের উদ্বোধন কর্মসূচির চারটি প্রকল্পই তাঁর সময়ের বলে উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, বাংলার জন্য ৭৮০০ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু ভোরে মায়ের প্রয়াণের পর তিনি আর সশরীরে এই কর্মসূচিতে থাকতে পারেননি। আমেদাবাদ থেকেই রেল প্রকল্প উদ্বোধন ও জাতীয় গঙ্গা কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দেন তিনি।