Food Poison: অনুষ্ঠানবাড়িতে খেয়ে এসেই গা গোলানো, বমি; ছুটতে হল হাসপাতালে, কারও আবার বাড়িতেই চলছে স্যালাইন

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 29, 2022 | 12:02 AM

Howrah News: স্থানীয় সূত্রে খবর, অসুস্থদের মধ্যে ১৫ জন মহিলা ও ৭ জন শিশু রয়েছে। রয়েছেন বেশ কয়েকজন বৃদ্ধও।

Food Poison: অনুষ্ঠানবাড়িতে খেয়ে এসেই গা গোলানো, বমি; ছুটতে হল হাসপাতালে, কারও আবার বাড়িতেই চলছে স্যালাইন
বাড়িতে চলছে স্যালাইন। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

হাওড়া: শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ খেয়ে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন একই এলাকার ৩৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের জোয়ারগোড়ি নয়াচক মাখালপাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার মাখালপাড়ায় এক বাড়িতে শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই মুড়ি, মুড়কি, বাতাসা, ছোলা খান আমন্ত্রিতরা। এদিকে এদিন বিকেলের পর থেকেই পাড়ার একাধিক বাড়িতে একই উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হতে শুরু করেন লোকজন। কারও বমি, কারও পেটে যন্ত্রণা, সঙ্গে ঘন ঘন মূলত্যাগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের বিডিও অতনু দাশ। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়েই এলাকায় পৌঁছন তিনি। ব্যবস্থা করেন অ্যাম্বুলেন্সেরও।

স্থানীয় সূত্রে খবর, অসুস্থদের মধ্যে ১৫ জন মহিলা ও ৭ জন শিশু রয়েছে। রয়েছেন বেশ কয়েকজন বৃদ্ধও। চারজনকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের কাউকে নার্সিংহোমে, কাউকে আবার বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা শুরু হয়। চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা, খাবারে বিষক্রিয়া থেকে এই পরিস্থিতি। প্রশাসনের তরফে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর।

উলুবেড়িয়া হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, “৩৭ জনের মত খাদ্যে বিষক্রিয়ার  শিকার হন। শ্রাদ্ধবাড়ি ছিল বোধহয়। সেখানে খাওয়াদাওয়া করেছিলেন। মুড়ি-মুড়কি, বাতাসা, ছোলা খেয়েছিলেন বলছেন। তাতেই হয়ত কোনওভাবেই এই অবস্থা হয়ে থাকতে পারে। ৩৬ জনের মধ্যে খুব খারাপ পরিস্থিতিতে কেউই নেই। তবে ৭-৮ জনের হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজন। একজন নার্সিংহোমে আছেন। বাকিরা সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। অসুবিধা কিছু নেই।”

অন্যদিকে উলুবেড়িয়া-২’র বিডিও অতনু দাশ বলেন, “আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রস্তুত ছিল। আমরা এসেছিলাম, সকলের সঙ্গে দেখা করলাম। গ্রামের লোকজনকে বলে গেলাম, কোনও অসুবিধা হলেই আমরা আসব। একটা অ্যাম্বুলেন্সও রেখে গেলাম এখানে। আমরা সবসময়ই পাশে আছি।” এদিকে একই এলাকায় পরপর একই উপসর্গ নিয়ে এতজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় সকলের মধ্যে আতঙ্ক উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়। কারও কারও বাড়িতেই স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়। তবে চিকিৎসক, বিডিও গ্রামে ঘুরে যাওয়ায় মনের জোর পেয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষও।

Next Article