Suvendu on Partha: ‘এসব পাপী লোকেদের সম্পর্কে কথা না বলাই ভাল’, পার্থর নাম শুনেই বিরক্ত শুভেন্দু

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 18, 2022 | 8:47 PM

Partha Chatterjee: বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন তাঁদের আদালতে তোলা হলে, পার্থকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা যায়।

Suvendu on Partha: এসব পাপী লোকেদের সম্পর্কে কথা না বলাই ভাল, পার্থর নাম শুনেই বিরক্ত শুভেন্দু
হাওড়ায় শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

হাওড়া: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উঠতেই তীব্র বিরক্তি প্রকাশ শুভেন্দু অধিকারীর। বললেন, “এসপ পাপী লোকেদের সম্পর্কে কথা না বলাই ভাল”। বৃহস্পতিবার হাওড়ার পাঁচলায় জন্মাষ্টমীর এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তিনি শাসকদলের ‘স্বজনপোষণের’ অভিযোগ তোলেন। বলেন, এ রাজ্যের পুলিশের কাজ বিরোধীদের আটকানো এবং শাসকদলকে আগলানো।

বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন তাঁদের আদালতে তোলা হলে, পার্থকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা যায়। পার্থ বলেন, ‘নোবডি উইল বি স্পেয়ার্ড’, অর্থাৎ কেউ ছাড় পাবে না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অল উইল বি প্রুভড ইন টাইম’। সময়ে সব প্রমাণ হবে। এরপরই জোর জল্পনা শুরু হয়, ‘নোবডি’ বলতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কার কার কথা বলতে চাইলেন?

এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এসব পাপী লোকেদের সম্পর্কে কথা না বলাই ভাল। আমি মন্তব্য করব না। উনি নিজেই তো দোষী। ছাড় পাবেন না মানে? উনি মিডিয়াতে এসব বাজারি কথা বলছেন। মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে ওনার।” অন্যদিকে পার্থর বক্তব্য নিয়ে বোলপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরাও তো তাই বলছি। পার্থদা এতদিনে আমাদের লাইনে এসেছেন। কেউ ছাড় পাবেন না। সব চোরকে ধরে ধরে জেলে ভরা উচিৎ। সিবিআই ভরবে। পার্থবাবুর উচিৎ এই কেউয়ের মধ্যে কারা কারা পড়বেন, তাঁদের নাম সিবিআইকে বলা, ইডিকে বলা। যে পাপ হয়েছে, হাজার হাজার বেকার যুবকের চোখের জল এর সঙ্গে জড়িয়ে, তাই অপরাধীদের জেলে যাওয়া আবশ্যক। তাঁরা জেলে যাবেনও।”

অন্যদিকে হাওড়ার অনুষ্ঠানে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, “ওনার মেয়ে ফেল করেও চাকরি পেয়েছেন এটাই সত্যি। এর জন্য দায়ী এই সরকার। নয় ঘুষ দিয়ে চাকরি হয়, না হলে ফেল করলেও চাকরি পাওয়া যায় যদি নেতাদের আত্মীয়স্বজন হয়। এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। এখানকার পুলিশের ডিউটি হচ্ছে বিজেপির নেতাদের আটকানো আর শাসকদলের নেতাদের নিরাপত্তা দেওয়া।”

Next Article