হাওড়া: বাংলায় অসৌজন্য ও প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে বলে মন্তব্য বিজেপির (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya)। রবিবার হাওড়ার কামারডাঙায় এক অনুষ্ঠানে এসে শমীক বলেন, “এই মুহূর্তে বাংলায় অসৌজন্যের রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং অসহিষ্ণুতার রাজনীতি চলছে। এটুকু বলতে পারি ভারতবর্ষের সবচেয়ে অসহিষ্ণু দল এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস।” সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে মিঠুন চক্রবর্তী, দেব অভিনীত বাংলা ছবি ‘প্রজাপতি’। এই ছবি অন্যান্য প্রেক্ষাগৃহে চললেও শো নেই নন্দনে। যা নিয়ে দেব টুইটও করেন, ‘এইবার তোমাকে মিস করব ‘নন্দন’। কোনও ব্যাপার না। আবার দেখা হবে। গল্পের শেষ।’ নন্দনে প্রজাপতি শো না পাওয়ায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “অতীতে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম থাকলে নন্দনে সেই ছবি রিলিজ করা যেত না। তরুণ মজুমদার ছবির শুটিং করতে পারতেন না। সুতরাং সর্বক্ষেত্রেই একটা দখলদারির রাজনীতি তৃণমূল কংগ্রেস করে এসেছে। একটা বাধ্যতার সংস্কৃতি এরা সর্বক্ষেত্রেই করে এসেছে। আমার মনে হয় মানুষ এটাকে অচিরেই প্রত্যাখ্যান করবে।”
শুধু শমীক নন, প্রজাপতি-নন্দন ইস্যুতে দিলীপ ঘোষেরও নিশানায় থেকেছে শাসকদল। মিঠুন ছবিতে থাকায় নন্দনে তা জায়গা পায়নি বলে দাবি করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “তৃণমূল না করলে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সুবিধাও পাওয়া যায় না, কোনও জায়গাও পাওয়া যায় না। মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপি করেন বলে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও ডাকা হয় না, নন্দনে তাঁর ছবি রিলিজের সুযোগও দেওয়া হয় না।”
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও সহমত এ নিয়ে। তিনি বলেন, “আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন সিনেমা দেশে বিদেশে গিয়ে পুরস্কৃত হচ্ছে, সেগুলি এখানে গুরুত্ব পাচ্ছে না। এমনকী ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে রাজ্যের সিনেমা জগতের লোকজনও কল্কে পান না।”
তবে এদিন শমীক শুধু নন্দনে প্রজাপতির শো নিয়েই নন, সরব হন রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্ক নিয়েও। তিনি বলেন, “সাংবিধানিক প্রধান এবং প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে একটা সুস্থ সম্পর্ক থাকবে এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় কাম্য। কিন্তু জগদীপ ধনখড়ের সময় দেখেছি, তৃণমূল কী ব্যবহার তাঁর সঙ্গে করেছে। সুতরাং আমার মনে হয় না যে এই সম্পর্কও বেশিদিন থাকবে। কারণ তৃণমূল তৃণমূলেই আছে।”
এ বিষয়ে হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কল্যাণ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বলেন এ নিয়ে রাজ্যস্তরের নেতারা যা বলার বলবেন। কল্যাণ ঘোষের কথায়, “ওদের মুখপাত্র বলেছেন, যা বলার আমাদের মুখপাত্র বলবেন।”