হাওড়া: মিষ্টির দোকানে ঢুকে মস্তানির অভিযোগ একদল যুবকের বিরুদ্ধে। দই খেয়ে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে ঝামেলা। এরপরই দোকানি বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল শিবপুরের ১৬ নম্বর ওঙ্কার মল জেটিয়া রোডে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, রবিবার মিষ্টির দোকানে ঢুকে দোকানের মালিক ও তাঁর ভাইপোকে লাঠি, ইঁট, ছুরি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। একদল যুবক এই ঘটনা ঘটান। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শিবপুর থানার পুলিশ।
রবিবার তখন দুপুর ৩টে। অভিযোগ, ৪-৫ জন যুবক ওই মিষ্টির দোকানে ঢুকে দই খান। কিন্তু সেই দইয়ের টাকা না দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দোকানের মালিক রাজকুমার ঘোষ ও তাঁর ভাইপো স্বরূপ ঘোষ ওই যুবকদের বাধা দেন। টাকা চাইতে গেলেই ওই যুবকদের সঙ্গে রাজকুমার ও স্বরূপদের বচসা বেধে যায়। তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান অভিযুক্তরা।
অভিযোগ, এর কিছুক্ষণ পর ফের ঘুরে আসে ওই যুবকের দল। সোজা দোকানে ঢুকে মালিক ও মালিকের ভাইপোর উপর চড়াও হয়। দোকানে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ ওঠে। কী ঘটনা ঘটেছে তা দেখতে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমালে ওই যুবকরা চম্পট দেন। দোকানের মালিক রাজকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করতে করতে আমাদের উপর চড়াও হয় ওরা। তারপর ছুরি দেখিয়ে আমাদের ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা লুঠ করে। লাঠি ও ইট দিয়ে বেধড়ক মারধরও করে। বলছিল, রাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে গুলি করে দেবে।”
স্বরূপ ঘোষের কথায়, ওই যুবকের দল তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয়। তিনি বলেন, “দই খেলো। টাকা চেয়েছিলাম বলে গায়ে হাত তুলল, এই অবস্থা করল। উল্টে যাওয়ার সময় দোকানেই লুঠপাট চালাল।” কাকা-ভাইপো রাজকুমার ও স্বরূপকে লক্ষ্মীনারায়ণতলায় হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, ওই মিষ্টির দোকানে প্রায়শই কয়েকজন ১৪-১৫ বছরের ছেলে মিষ্টি খেয়ে পয়সা না দিয়ে চলে যায়। এদিনও সেরকম করতে গেলে মিষ্টির দোকানের মালিক প্রতিবাদ করাতে ওই ছেলেদের ঝামেলা হয়। মিষ্টির দোকানের তরফে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।