Panihati Chaos: পানিহাটিকাণ্ডে কোন্নগরে বন্ধ ফেরি, তুমুল ক্ষোভে ফেটে পড়লেন যাত্রীরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 12, 2022 | 11:38 PM

Konnanagar Ferry Service: গত দু'বছর করোনার কারণে দণ্ড মহোৎসব উপলক্ষে মেলা হয়নি। এদিকে প্রতি বছর প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এই মেলায় যান।

Panihati Chaos: পানিহাটিকাণ্ডে কোন্নগরে বন্ধ ফেরি, তুমুল ক্ষোভে ফেটে পড়লেন যাত্রীরা
থিকথিকে ভিড় দণ্ড মহোৎসবে। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

হাওড়া: মর্মান্তিক ঘটনা পানিহাটিতে। দণ্ড মহোৎসব উপলক্ষে মেলা। সেই মেলায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনজনের মৃত্যু। যা ঘিরে দিনভর চাপানউতর চলেছে। এরইমধ্যে নতুন করে অশান্তি দানা বাঁধে এই ঘটনার পর কোন্নগর ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হলে। রবিবার সন্ধ্যায় জানানো হয়, কোন্নগর ঘাট থেকে কোনও লঞ্চ পানিহাটিতে যাবে না। শুধুমাত্র পানিহাটি থেকে ফিরবে। এরপরই তুমুল ঝামেলা শুরু করেন কয়েকজন যাত্রী। কোনওভাবেই তাঁদের শান্ত করা যাচ্ছিল না। কোন্নগর ফেরিঘাটে গেলে শ্রীরামপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুমন মণ্ডল ও কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাসকে ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু করেন যাত্রীরা। যদিও সুমন মণ্ডল জানান, নবান্ন থেকে নির্দেশ এসেছে। কোনওভাবেই নড়চড় সম্ভব নয়।

ssমাঝের বিরতির পর এ বছর মেলা হতেই উপচে পড়ে পুন্যার্থীদের ভিড়। অস্বস্তিকর গরমে এরপরই বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। এরইমধ্যে গরমে শরীর খারাপ করে তিনজনের মৃত্যুও হয়।

তার জেরে সন্ধ্যায় ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে ফেরি বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে তাঁদের বাড়ি ফেরা এক প্রকার অনিশ্চয়তার মুখে পড়া। কীভাবে তাঁরা পানিহাটি ফিরবেন বুঝতে না পেরে চেঁচামেচি শুরু করেন। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীরামপুর সুমন মণ্ডল বলেন, “দেখুন ১০-১৫ জন চেঁচামেচি করেছেন। অথচ টিকিট কেটেছিলেন প্রায় ৩০০ জন লোক। সকলেই বুঝেছেন। কয়েকজন লোক অনেক কথাই বলছেন। কিন্তু এটা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত। এটা আমাদের মানতেই হবে।”

সুমন মণ্ডলের কথায়, “দু’টো জেলার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এটা। শুধু হুগলি জেলাই নয়, উত্তর ২৪ পরগনা, ব্যারাকপুর কমিশনারেট থেকে সবুজ সঙ্কেত না এলে আমরা ফেরিটা কিছুতেই চালু করতে পারি না। এটা আর পাঁচটা সাধারণ দিন হলে একরকম ছিল। আজকের বিষয়টা তো বুঝতে হবে। তিনজন মারা গিয়েছেন। একেবারে নবান্ন থেকে নির্দেশ এসেছে। এই ঘাট থেকে কোনও ফেরি যাবে না। পানিহাটি থেকে শুধু আসবে। সেটাই হয়েছে। পরে কোনও নির্দেশ এলেই আবারও সবটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।” একইসঙ্গে তিনি জানান, ৯০ শতাংশ লোকের টাকাই ফেরত দেওয়া হয়েছে।

Next Article