হাওড়া: আর পাঁচটা গাড়ির মতোই রাস্তায় নেমেছিল ট্য়াক্সিটা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, গাড়ির মধ্যে ছিল এক নাবালিকাও। আর এক বাচ্চা ছেলে। সাঁতরাগাছি ব্রিজের কাছে আচমকা দাঁড়িয়ে যায় গাড়িটা। গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় বাচ্চা ছেলেটিকে। এদিকে পিছনেই ছিলেন এক বাইক আরোহী। গাড়িটির গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ হয় তাঁর। তাঁর সন্দেহ হয় গাড়িতে থাকা মেয়েটিকে নিয়ে পালাচ্ছে ওই যুবক। জানান, পাশে থাকা ট্র্যাফিক পুলিশকে। পুলিশ (Police) তখন গাড়িটিকে আটকায়। গাড়িতে থাকা এক যুবক ও কিশোরীকে তুলে দেওয়া হয় চ্যাটার্জি হাট থানার পুলিশের কাছে।
চালক-সহ ট্যাক্সিটিকে আটক করে পুলিশ। আটক করা হয় ট্যাক্সিতে থাকা যুবককেও। যদিও তখনও গোটা ঘটনায় রয়েছে ধোঁয়াশা। এদিকে ঘটনার পর মেয়েটির এক দূর সম্পর্কের কাকা জানান, মেয়েটি মহরমের মেলা দেখতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর কী করে কী ঘটনা ঘটেছে তাঁদের জানা নেই। পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৬ বছরের ওই কিশোরীর সঙ্গে যুবকটির প্রণয়ের সম্পর্ক রয়েছে। শুক্রবার তাঁরা একে অপরের সঙ্গে দেখা করে শিয়ালদহে মহরমের মেলায় যাচ্ছিল। তখনই ঘটে এ ঘটনা। যদিও এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে খবর। চ্যাটার্জিহাট থানার ওসি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওদের ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল। সেখান থেকেই ভালবাসার সম্পর্ক। আজ ওরা সাঁতরাগাছি স্টেশনে দেখা করতে আসে। সঙ্গে ছিল মেয়েটার ভাই। সেখান থেকে শিয়ালদহে মহরমের মেলায় যাচ্ছিল। আমরা ইতিমধ্যেই মেয়েটিকে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি। ওর ভাইয়েরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। কোনও অভিযোগ জমা না পড়লে আমরা ছেলেটাকে রিলিজ করে দেব। ওর বাড়ি মুর্শিদাবাদে।”