জগৎবল্লভপুর: টিউশন থেকে বাড়ি ফিরছিল মেয়েটা। আচমকা রাস্তা থেকেই তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। জোর করে বাইকে তোলারও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের তৎপরতায় উদ্ধার পেয়েছেন ওই নাবালিকা। বুধবার সকাল দশটা নাগাদ এ ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর বিধানসভার অন্তর্গত ঝেড়ো আয়মাচোকে। ধৃত যুবককে বেধড়ক মারধর করেন এলাকার বাসিন্দারা। জনরোষের মুখে পড়ে বাইকটি। তাঁর বাইকটিকেও ভেঙে রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়া হয়। খবর যায় পুলিশে।
খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জগৎবল্লভপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। উন্মত্ত জনতার হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে জগৎবল্লভপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই যুবকের নাম মুকেশ কুমার সানি। বাড়ি বিহারে। এখানে তিনি জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন বলে খবর। কিন্তু, কেন তিনি ওই স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই যুবককে আটক করে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। ধৃতের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকার লোকজন।
ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী জাহির আব্বাস বলেন, “প্রাইভেট টিউশন থেকে মেয়েটা ফিরছিল। রাস্তাতেই একটা ছেলে মেয়েটাকে ফলো করে। জোর করে বাইকে তোলার চেষ্টা করে। তখনই মেয়েটার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ছুটে যায়। তাদের দেখে ছেলেটা বাইক নিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। রাস্তা ছেড়ে মাঠে পড়ে যায়। মাঠ দিয়ে দৌঁড়াতে শুরু করে। ওখানেই ওকে ধরে ফেলা হয়। এলাকার লোকজন রাগে মারধরও করে। তারপরই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা ওর কঠোর শাস্তি চাই।”