বর্ধমান-রায়গঞ্জ-শিলিগুড়ি-বাঁকুড়া: দ্রোহের উৎসবে মেতেছে বাংলা। পুজোর কার্নিভালের আলোক ছটার মধ্যেই দ্রোহের কার্নিভালে প্রতিবাদের ঢেউ ধর্মতলায়। কলকাতার পাশাপাশি বর্ধমান শহরেও বের হল ‘দ্রোহের কার্নিভাল’। একই ছবি উত্তরবঙ্গেও। রায়গঞ্জ থেকে শিলিগুড়ি, সর্বত্রই দেখা গেল একই ছবি। মিছিল, প্রতিবাদ, স্লোগান, লক্ষ্মীপুজোর আগের রাতে নজরবিহীন ছবি বাংলার দিকে দিকে।
মঙ্গলবার বিকেলে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে শুরু করে উত্তর ফটক হয়ে কার্জনগেট চত্বরে শেষ হয় কার্নিভাল। এই কার্নিভালে অংশ নিয়েছিলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা। অংশ নেন সেখানকার প্রাক্তন ছাত্র ও সিনিয়র ডাক্তাররা। অন্যদিকে কলকাতার পাশাপাশি আসানসোলেও হল দ্রোহের কার্নিভাল। জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নামল নাগরিক সমাজ। ঝাঁঝালো ভাষণ গান, কবিতা ও মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে চলল প্রতিবাদ কর্মসূচি।
দ্রোহের কার্নিভাল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও। এদিন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চত্বর থেকে চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দ্রোহের কার্নিভাল আয়োজন করা হয়। এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করেন চিকিৎসক পড়ুয়া সহ নাগরিক সমাজের বড় অংশ। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থেকে বেরিয়ে গার্লস কলেজের পাশ দিয়ে গিয়ে টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে পৌঁছায় মিছিল। একইসঙ্গে শিলিগুড়িতেও হয়ে গেল দ্রোহ উৎসব। একদিকে প্রতীকী অনশন, অন্যদিকে প্রতিবাদী গান, কবিতা, নাচের মাধ্যমে চলল প্রতিবাদ। এদিন এই ছবি দেখা গেল সফদর হাসমি চকে। মঞ্চ বেঁধে চলল দ্রোহের উৎসব।
কলকাতার পাশাপাশি দ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ল বাঁকুড়াতেও। কলকাতার পাশাপাশি এদিন সন্ধ্যায় তিলোত্তমার বিচার সহ দশ দফা দাবিতে দ্রোহের কার্নিভাল হয়ে গেল বাঁকুড়ায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার ডক্টরস ফ্রন্টের ডাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ থেকে দ্রোহের কার্নিভ্যাল উপলক্ষে মিছিল শুরু করেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়ার চিকিৎসকরা। মিছিল চলে বাঁকুড়ার ভৈরবস্থান মোড় পর্যন্ত। অন্যদিকে রায়গঞ্জেও জুনিয়ার ডাক্তারদের নেতৃত্বে হয়ে গেল দ্রোহ উৎসব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ মেডিক্য়ালের ইমার্জেন্সি বিভাগের সামনে থেকে শহরের ঘড়ি মোড় পর্যন্ত জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পক্ষ থেকে এই মিছিলে পা মেলান রায়গঞ্জ মেডিকেলে কর্মরত জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়ার ডাক্তার এবং নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।