জলপাইগুড়ি: সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় অভিযোগে তিনজনকে আটক করলো ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ (Police)। ব্য়াপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। সূত্রের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি (Maynaguri) ব্লকে WBSETCL এর তরফে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ঝামেলার সূত্রপাত সেই কাজকে কেন্দ্র করেই। অভিযোগ ময়নাগুড়ির দক্ষিন মৌয়ামারিতে একটি পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজে বাধা দেয়। এরপরই বন্ধ হয়ে যায় কাজ।
সূত্রের খবর, এই নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ওই পরিবারের বেশ কয়েকদফা বৈঠক হয়। প্রশাসনের তরফে জমির জন্য সরকারি মূল্য অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি থাকলেও ওই পরিবার অনেক বেশি টাকা দাবি করতে থাকে বলে খবর। এরইমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার জেলা শাসকের নির্দেশে শুরু হয় কাজ। এরইমধ্যে ওই পরিবারের সদস্যরা ফের বাধা দিলে নির্মানকারী সংস্থার সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, বিডিও এবং প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকেরা। তাঁদের উপস্থিতিতে ফের শুরু হয় কাজ।
এরপর ফের সেই কাজে বাধা দেওয়া হলে তিনজনকে আটক করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে ময়নাগুড়ি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী।
বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক প্রিয়লাল পাণ্ডে বলেন, জলপাইগুড়ি এবং ডুয়ার্সের কিছু এলাকায় বর্তমানে যে লাইন আছে সেখানে লো ভোল্টেজজনিত সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা মেটাবার জন্য আমরা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইন নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু এখানে আমরা কাজে বাধা পাই। এরপর জেলা শাসকের নির্দেশে আমরা আজ আবার কাজ শুরু করলাম।
জমির মালিক প্রফুল্ল কুমার রায় বলেন, “আমার থেকে অনুমতি না নিয়ে আমার জমিতে এরা কাজ শুরু করতে এলে আমাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর জমির উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিলে আমি আমার আড়াই বিঘা জমি দিয়ে দেব বলি। এরপর আমাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। আমরা বলেছিলাম এক কোটি টাকা জমির দাম দিতে হবে। পরে ৮০ লাখ টাকা চেয়েছি। কিন্তু কোনও মিমাংসা হয়নি। আজ ফের কাজ শুরু করলে আমরা কথা বলতে যাই। কিন্তু আমাদের কথা না শুনে আমার বাড়ির তিন সদস্য কে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। আমরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাইনি।” ডিএসপি বিক্রমজিৎ লামা জানান, “জেলাশাকের তরফে নির্দেশ ছিল কাজ শুরু করার। সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করলে বাধা দেওয়া হলে আমরা তিনজনকে আটক করেছি। এখন সমস্যা নেই।”