নয়া দিল্লি ও জলপাইগুড়ি: পদ্ম সম্মান (Padma Awards) পাচ্ছেন ১০২ বছর বয়সি লোকসংগীত শিল্পী মঙ্গলকান্তি রায়। জলপাইগুড়ির মঙ্গলকান্তি রায় বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বর্ষীয়ান লোকশিল্পী। তাঁর সারিঞ্জার সুরের ঝংকার ওঠে। পাখির মিষ্টি কলতান তুলে ধরতে পারেন তিনি সারিঞ্জার। বিগত প্রায় আট দশক ধরে বিভিন্ন মঞ্চে সারিঞ্জার বাজিয়ে আসছেন তিনি। এবার বর্ষীয়ান সারিঞ্জা বাদককে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করছে ভারত সরকার। জলপাইগুড়ি জেলার আরও এক বিশিষ্টজনকে দেওয়া হচ্ছে পদ্মশ্রী সম্মান। টোটো ভাষা সংরক্ষণের জন্য ধনীরাম টোটোকে পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে।
#PadmaAwards2023 | Mangala Kanti Roy, 102-year-old Sarinda Player from Jalpaiguri, popular as one of the oldest folk musicians of West Bengal to receive Padma Shri in the field of Art (Folk Music) pic.twitter.com/4nrUm3MzIh
— ANI (@ANI) January 25, 2023
টোটো ভাষায় বর্তমানে ৩৭টি বর্ণমালা রয়েছে। তিনিই প্রথম টোটো ভাষায় একটি বই লেখেন। টোটো উপজাতির মানুষের সংখ্যা বর্তমানে হাতে গোনা। টোটো উপজাতির এই ভাষাও মৃতপ্রায়। ইউনেসকোর লুপ্তপ্রায় ভাষার তালিকায় রয়েছে এটি। ৫৭ বছর বয়সি এই ভাষা সংরক্ষককে এবার পদ্ম সম্মানে ভূষিত করছে কেন্দ্র। পাশাপাশি বাংলার থেকে প্রীতিকনা গোস্বামীকেও দেওয়া হচ্ছে পদ্মশ্রী সম্মান। মরনোত্তর পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন দিলীপ মহলানবিশও। ওআরএস-এর জন্য তাঁকে সর্বোচ্চ পদ্ম সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে। এই বছরে মোট ৬ জনকে পদ্মবিভূষণ, ৯ জনকে পদ্মভূষণ ও ৯১ জনকে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হচ্ছে।
বিশিষ্ট সারিঞ্জা বাদক মঙ্গলাকান্তি রায় ২০১৭ সালে বঙ্গরত্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। এবার পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন তিনি। ময়নাগুড়ি ব্লকের ধওলাগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গলাকান্তি রায়। রাজবংশী সমাজের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে সারিঞ্জা। কিন্তু আজ তা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। মঙ্গলাকান্তি রায় প্রায় আট দশক ধরে এই সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রেখেছেন।