ধুপগুড়ি : জম্মু ও কাশ্মীরের রামবনে ধসে আটকে পড়া ধূপগুড়ির পাচ যুবকের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৪ জনের দেহ উদ্ধার করতে পেরেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। শনিবার তাদের দেহ উদ্ধারের পর তাদের সনাক্ত করেন ওখানে থাকা অন্য শ্রমিকরা। শনিবার যে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁদের নাম পরিমল রায় (৩৫), দীপক রায় (৩০) ও যাদব রায় (২৩)। এর আগে গতকাল অর্থাৎ, শুক্রবার উদ্ধার হয়েছিল সুধীর রায়ের মৃতদেহ। উল্লেখ্য, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ধুপগুড়ি থেকে ১০-১২ জনের একটি দল জম্মু-কাশ্মীরের রামবনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে ধস নামে। তাতে আটকে পড়েন ১০-১২ জন। আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন ধূপগুড়ির পাঁচ জন।
মৃত ওই শ্রমিকদের মধ্যে গধেয়ার কুঠি গ্রামের চরচরা বাড়ির বাসিন্দা পরিমল রায়(৩৫),দীপক রায়(৩০) ও সুধীর রায় (৩১)। পাশের গ্রাম মাগুর মারির মল্লিক পাড়াতেই থাকত যাদব রায় (২৩)। ওই গ্রামেরই ২২ বছর বয়সি গৌতম রায়ও কাজের জন্য রওনা দিয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের উদ্দেশে। এরমধ্যে সুধীর রায়ের (৩১) দেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয়। তবে বাকিদের শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার মধ্যে বৃষ্টির জন্য উদ্ধারকার্য বার বার ব্যাহত হয়েছিল। শনিবার সকাল থেকে ফের আইটিবিপি এবং পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধারকার্য শুরু করে। এদিকে ধূপগুড়ি থেকে ইতিমধ্যেই একজন জম্মু ও কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মৃত শ্রমিকদের দেহ নিয়ে আসার জন্য।
এদিকে উপত্যকায় কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছতে রীতিমতো শোকস্তব্ধ ধূপগুড়ির দুই গ্রাম। দু’টি গ্রামে গতকালের পর থেকে রীতিমতো নীরবতা নেমে এসেছে। গ্রামের মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসীরা ভাবতেই পারছেন না উপার্জনের জন্য ভিনরাজ্যে গিয়ে তাদের এই পরিণতি হবে। প্রত্যেক নিখোঁজের বাড়িতে ভিড় করছেন তাদের আত্মীয়পরিজন এবং এলাকাবাসীরা।