Jalpaiguri Body Recovered: বন্ধ ঘর থেকে পুলিশ কর্মীর ছেলের পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র

May 22, 2022 | 6:38 PM

Jalpaiguri Body Recovered: গত কয়েকদিন ধরে চিন্ময়ের বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ ছিল। তাঁকে ঘর থেকে বের হতেও দেখা যাচ্ছিল না। রবিবার সকালে পচা গন্ধ বের হলে, এলাকার মানুষ স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

Jalpaiguri Body Recovered: বন্ধ ঘর থেকে পুলিশ কর্মীর ছেলের পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
যুবকের দেহ উদ্ধার

Follow Us

জলপাইগুড়ি: কয়েক বছর আগে ওই বাড়ি থেকেই ঠিক একই অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিলেন পুলিশ কর্মী। বন্ধ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল দেহটা। গলায় গামছার ফাঁস। কয়েক বছরের ব্যবধানে সেই ঘর থেকেই উদ্ধার হল ছেলের ঝুলন্ত দেহ। প্রতিবেশীদের কথায়, ঠিক একইরকমভাবে একই ঘর থেকে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থাতেই ছিল দেহটা। তবে শরীরে পচন ধরেছিল যুবকের। এক যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে। রবিবার জলপাইগুড়ি পৌরসভার ১৮ নং ওয়ার্ডের নিউ সার্কুলার রোড এলাকায় একটি বন্ধ বাড়ি থেকে যুবকের পচাগলা দেহ ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম চিন্ময় রায় (২৬)। তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। জানা যাচ্ছে, তাঁর বাবা পুলিশ কর্মী ছিলেন। প্রতিবেশীরাই জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছর আগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন চিন্ময়ের বাবাও। প্রাথমিকভাবে চিন্ময়ও আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাবার পর ছেলেরও মর্মান্তিক পরিণতিতে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে চিন্ময়ের বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ ছিল। তাঁকে ঘর থেকে বের হতেও দেখা যাচ্ছিল না। রবিবার সকালে পচা গন্ধ বের হলে, এলাকার মানুষ স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি কোতোয়ালি থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভাঙে।

দেখা যায়, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন চিন্ময়। শরীরে পচন ধরেছে তাঁর। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর উত্তম বোস বলেন, “এই ছেলেটি একাই থাকত। এর মায়ের মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। বাবা পুলিশ কর্মী ছিলেন। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কয়েকবছর আগে তিনিও আত্মঘাতী হন। এরপর থেকে ছেলেটি বাড়িতে একাই থাকত। ছেলেটি চাকরি পায়নি। পাড়ায় তেমনভাবে কারোর সঙ্গে মেলামেশাও করত না। মনে হয়, হতাশা থেকে এই পথ বেছে নিয়েছে। পুলিশ এসেছে।” মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Next Article