Tea Garden: ‘এবার বাচ্চাটাকে পড়াতে পারব’, ৪৯ দিন পর বন্ধ চা বাগান খোলায় শ্রমিকদের মুখে চওড়া হাসি

Rony Chowdhury | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 23, 2023 | 2:03 PM

Dooars Tea garden: গতকাল বাগানটি পুনরায় খোলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বুলু চিক বারাইক, নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর,তৃণমূল প্রাথমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার,জোফেস মুন্ডা।

Tea Garden: এবার বাচ্চাটাকে পড়াতে পারব, ৪৯ দিন পর বন্ধ চা বাগান খোলায় শ্রমিকদের মুখে চওড়া হাসি
ফের খুলল চা বাগান
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

ডুয়ার্স: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলে গেল আরও একটি চা বাগান। একটানা ৪৯ দিন বন্ধ ছিল বাগানটি। দুর্গাপুজোর সময় বোনাস না দিয়েই বাগান ছেড়ে চলে যান মালিক পক্ষ। যার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েছিল প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। অবশেষে ফের খুলল বাগানটি।

ডুয়ার্সের নাকরাকাটা ব্লকের অন্তর্গত বামনডাঙ্গা চা বাগানের ঘটনা। জানা গিয়েছে, চা বাগান পুনরায় খোলা নিয়ে মালিক কর্তৃপক্ষ,চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব,শ্রম দফতরের আধিকারিকদের লাগাতার বৈঠক চলছিল। এরপরই বুধবার থেকে ফের খুলে যায় বাগানটি। সূত্রের খবর, প্রায় ৯ শতাংশ পুজোর বকেয়া বোনাস শ্রমিকদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাগান কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে এও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বকেয়া দুমাসের বেতনও দেওয়া হবে।

গতকাল বাগানটি পুনরায় খোলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বুলু চিক বারাইক, নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর,তৃণমূল প্রাথমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার,জোফেস মুন্ডা।

প্রসঙ্গত, গত ৪ অক্টোবর পুজোর ঠিক আগে-আগে চা বাগান বন্ধ করে চলে গিয়েছিলেন বাগান কর্তৃপক্ষ। সেই সময় পুজোর কোনও বোনাসই দেওয়া হয়নি শ্রমিকদের। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল,বাগানটি ঠিক ভাবে পরিচালনা করতে না পারার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এরপর জেলা প্রশাসনের ডাকা বৈঠকে বাগানের আগের কর্তৃপক্ষ কোনও সাড়া দেয়নি। তবে নতুন মালিক চা বাগান ইউনিয়ন এবং শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বাগান ফের খোলার সিদ্ধান্ত নেন।

মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক বলেন, “সরকার অনেক চেষ্টা করছে যাতে এখানকার শ্রমিকরা ভাল থাকেন। চা বাগানগুলি যাতে খোলা থাকে সেই প্রচেষ্টাও করা হচ্ছে।” এখ শ্রমিক বলেন, “আমরা খুব গরিব। রোজগার না পেয়ে খাওয়া দাওয়া কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কটা টাকা পেলে এবার অন্তত বাচ্চাটাকে পড়াতে পারব।”

Next Article