জলপাইগুড়ি: ছাত্র সংসদ নির্বাচন কবে? প্রশ্নটা ঘোরাফেরা করছে বিগত কয়েক বছর ধরেই। কিন্তু, উত্তর নেই কারও কাছেই। শুধুই জল্পনা। এরইমধ্যে বড় ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য। লোকসভা ভোটের পরেই রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে নির্বাচন হবে। জলপাইগুড়িতে এসে এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন তৃণমুল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তাতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। তৃনাঙ্কুরের বক্তব্যকে কটাক্ষ করে সৃজনের মন্তব্য পুরোটাই অশ্বডিম্ব।
শনিবার বিকালে জলপাইগুড়ি ফার্মেসি কলেজে আসেন রাজ্য সভাপতি। কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর কলেজের সংসদ কক্ষের উদ্বোধন করেন। তারপরই নব গঠিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হন। বৈঠক করেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ছাত্রদের ভূমিকা কী হবে এবং সংগঠনের একজন সদস্য হিসাবে কী কী করনীয় তা বিশদে বুঝিয়ে দেন।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, এই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়ে আমাদের জেলা সভাপতির মাধ্যমে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। সে কারণেই আজ এলাম। আজই এই কলেজ ক্যাম্পাসে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সংগঠনের কাজ শুরু হল। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আমরা কলেজ গুলিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করতেই করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। তাই ওই পরিস্থিতিতে প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এবার আবার নির্বাচন হবে। লোকসভা নির্বাচনের পরেই রাজ্যের কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয় গুলোর সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাই আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।
এই বিষয়ে আমরা টেলিফোনে যোগাযোগ করেছিলাম SFI এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তিনি বলেন, নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। কারন আমরাই দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে এসেছি। তবে এই জাতীয় কথা আগে মুখ্যমন্ত্রী, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, ব্রাত্য বসু সহ অনেকেই বলেছেন। কিন্তু আজও নির্বাচন হয়নি। তাই তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য যাই বলুক না কেন আমার মনে হচ্ছে ওটা অশ্বডিম্ব ছাড়া আর কিছু হবে না। আগে সরকারি নিয়ম মেনে নোটিফিকেশন জারি করুক। তারপর দেখা যাবে। তবে আমরা প্রস্তুত।