নাগরাকাটা: ওড়িশার বালেশ্বের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা সেখান থেকে বেঁচে ফেরা ট্রেনযাত্রীদের মধ্যে। দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতিকে সঙ্গী করেই ঘরে ফিরলেন জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার ১০ জন। একটু বেশি রোজগারের আশায় বেঙ্গালুরুতে হোটেলে কাজ করতে গিয়েছিলেন নাগরাকাটা চা বাগানের ১৩ জন যুবক। শুক্রবার অভিশপ্ত সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনে ফিরছিলেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে মৃ্ত্যু হয়েছে সাগর খেরিয়ার। যাঁরা বেচে গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন রূপ বরাইক। ফিরে আসার পর রূপকে মালবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাড়ি ফিরে রূপ বলেছেন, “ঐ সন্ধ্যা ভোলার নয়। আমি ট্রেনের কামরার উপরের সিটে বসে ঝাল মুড়ি খাচ্ছিলাম। হঠাৎ ছিটকে গেলাম। তারপর কামরা অনেক বার ওলটপালট হল। বাইরে তখন লাশের লাইন।”
১৩ জন যুবকের মধ্যে মৃত সাগরের দেহের সঙ্গে থেকে গিয়েছেন দুর্গা বরাইক। গুরুতর জখম হওয়ায় ধর্মনাথ সিং নামে একজন বালেশ্বরের হাসপাতালে ভর্তি। বাকি বাকি ১০ জন একযোগে রবিবার দুপুরে ফিরলেন। ওডিশা থেকে থেকে বাসে করেই কলকাতায় পৌঁছেছিলেন। তারপর কলকাতা থেকে বাসেই তারা শিলিগুড়িতে পৌঁছন। শিলিগুড়ি থেকে তাদের প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানেই মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হয়।
দশ জনেরই শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ এবং আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক নিজে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। বুলু চিক বরাইক বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যাবতীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফিরে আসা বাসিন্দাদের সমস্ত দেখভাল করা হচ্ছে।” বিডিও বিপুল কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, প্রশাসনের তরফ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার পর সকলেই নাগরাকাটায় ফিরেছেন।