জলপাইগুড়ি: ভাবুন কাণ্ড! কলেজের মধ্যেই বসেছে নাকি মদের আসর। তাও আবার উদ্যোক্তা নাকি খোদ কলেজের অধ্যক্ষ। এমনই অভিযোগে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেল জলপাইগুড়ি কমার্স কলেজে (Jalpaiguri Commerce College)। অভিযোগের আঙুল কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকারের বিরুদ্ধে। আর এই খবর চাউর হতেই অধ্যক্ষকে কলেজের ভিতরেই তালাবন্দী করে রাখলেন কলেজেরই কর্মীদের একাংশ। এমনকী পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তা সামাল দিতে আসরে নামতে হয় পুলিশকেও। স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা এসে ওই অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
শুক্রবার রাতে নাকি সঙ্গে কিছু লোক নিয়ে কলেজের ভিতরে ঢোকেন অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার। অভিযোগ, এরপরই নাকি তিনি কলেজের ভিতরে মদের আসর বসান। আর বিষয়টি জানতে পেরে হেড ক্লার্ক সহ অন্যান্য বেশ কিছু কলেজ কর্মী সেখানে পৌঁছে যান। তাঁরা কলেজের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। এমন খবর চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি। নিমেষে ভিড় জমতে শুরু করে দেয় জলপাইগুড়ি কমার্স কলেজের বাইরে। এদিকে অধ্যক্ষের সঙ্গে কলেজ কর্মীদের একপ্রস্থ বচসাও হয়ে যায়। তিনি নাকি নিয়মিত বহিরাগত লোক নিয়ে এসে কলেজের মধ্যে মদের আসর বসান, এমনই অভিযোগ উঠে আসছে।
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই তপ্ত হতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বিক্ষুব্ধদের বক্তব্য, অধ্যক্ষ সেই সময় মদ্যপ কি না, তা পরীক্ষা করে দেখুক পুলিশ। তবে শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ওই কলেজের ফাইনাল ইয়ারের এক ছাত্র সায়ন্তন খাসকেল বলেন, “প্রিন্সিপাল মদ্যপ অবস্থায় আছেন। আমার ভাবতে লজ্জা হচ্ছে, আমি এই কলেজের ছাত্র।”
কলেজের হেড ক্লার্ক রাজীব চৌধুরী বলেন, “উনি দিনের পর দিন কলেজকে এইভাবে কলুষিত করে আসছেন। আজও তিনি কলেজে বহিরাগত নিয়ে এসে মদের আসর বসিয়েছেন। উনি কলেজের পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছেন। আমরা চাই এই প্রিন্সিপালকে কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।”
যদিও অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি কলেজে এসেছিলাম নাইট গার্ড এসেছে কি না তা দেখতে। এরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আটকে রেখেছে। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে।”