জলপাইগুড়ি: অধ্যাপক বাবার যৌন লালসার শিকার সৎ মেয়ে। ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোরীকে ধর্ষণের (Allegation of Physical Harassment) অভিযোগ উঠেছে তার বাবার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বাবা জলপাইগুড়ির এক কলেজের অধ্যাপক। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ থানা এলাকার। ঘটনায় দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে অধ্যাপকের মেয়ে। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) এই ঘটনায় স্তম্ভিত জেলার শিক্ষক মহল। অভিযোগ,দীর্ঘদিন ধরে সৎ মেয়েকে ভয় দেখিয়ে গোপনে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করছিলেন ওই অধ্যাপক। ভয়ে, লজ্জায় কাউকে কিছু জানাতে পারেননি ওই কিশোরী। কিন্তু সম্প্রতি, কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর বিষয়টি তার মাকে জানায় কিশোরী। সে মাকে জানায়, তার ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি মাকে জানানোর পরই তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। এরপরই অধ্যাপকের নাবালিকা মেয়ে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পরই অধ্যাপকের স্ত্রী থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করেন জলপাইগুড়ি মহিলা থানার পুলিশকর্মীরা। বুধবার অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানিয়েছেন,নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে পসকো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নির্যাতিতা কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, ওই কিশোরী বিহত এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ বোধ করছিল। অধ্যাপকের স্ত্রী মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে কিশোরী জানায়, তাঁৎ ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে এতদিন ধরে চেপে রাখা সৎ বাবার কুকীর্তির কথাও জানায় মাকে। নির্যাতিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শারীরিক পরীক্ষার জন্য, তখন জানা যায় নির্যাতিতা দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। নির্যাতিতার অভিযোগ, তার অধ্যাপক বাবা বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। কিশোরীর মাও পুলিশকে জানিয়েছেন, একবার দিনের বেলা তাঁর মেয়ে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় অভিযুক্ত বাবা সেই ঘরে ঢুকেছিল এবং মেয়ের শরীরে হাত দিয়েছিল।