জলপাইগুড়ি: ভোট মিটলেও রাজনৈতিক অশান্তি অব্যাহত। জলপাইগুড়িতে বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল জানায়, নিজেদের ঝামেলা, মারামারিকে তাদের ঘাড়ে ঠেলতে চাইছে বিজেপি। এই ঘটনায় একজন বিজেপি কর্মী জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী জানান, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লোকসভা ভোটের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার হিংসার অভিযোগ উঠছে। জলপাইগুড়িতেও বীরেন শর্মা নামে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পেশায় টোটো চালক তিনি। সোমবার দুপুরে জলপাইগুড়ি পাদ্রীকুঠি এলাকায় টোটো নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময়ই তৃণমূল নেতা প্রধান হেমব্রম ও তাঁর দলবল তাঁকে মারধর করে।
বীরেন শর্মার দাবি, “আমি বসেছিলাম। আমাকে প্রধান এসে মারতে শুরু করল। বুকের মধ্যে মেরেছে।” পাল্টা প্রধান হেমব্রম বলেন, “এরা আগেও মারামারি করেছে। ব্যক্তিগচ ক্যাচাল এসব। জামিন পেয়ে আসে। এরপরই, যে ওর নামে অভিযোগ করেছিল তাকে মারতে যায়। শুনলাম তাতে লোকজন জড়ো হয়, মারামারি হয়। আমি কিছুই জানি না। খবর পেয়ে গিয়ে ওদের বললাম কেন মারামারি করিস? আমাকে বলল ভুল হয়ে গিয়েছে। এরপর বীরেন টোটো নিয়ে বাড়ি চলে যায়। এখন আমার নামে কী অভিযোগ করেছে জানি না।”
এ বিষয়ে বিজেপি নেতা বাপি গোস্বামী বলেন, আমাদের এক দলীয় কর্মীকে তৃণমূলের লোকেরা তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। হাসপাতালে ভর্তি। থানায় এফআইআর করা হয়েছে। তৃণমূলের মাতব্বররা তুলে নিয়ে গিয়েছে।”