হলদিবাড়ি: নিজের উপস্থিত বুদ্ধি মত্তার পরিচয় দিয়ে তিনিই এখন খবরে। তাঁর একটা টুইটে খোদ রেলমন্ত্রী করলেন পদক্ষেপ। কথা হচ্ছে, এক সমাজসেবী নব্যেন্দু মৌলিকের। নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে টুইট করেছিলেন। তাঁর টুইট পেয়ে দ্রুত চিকিৎসার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। মন্ত্রীর নির্দেশে প্রায় ২৫ মিনিট ট্রেন থামিয়ে খুদে যাত্রীকে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুললেন রেলের চিকিৎসকের দল। রেলের পরিষেবায় অভিভূত যাত্রীরা ধন্যবাদ জানালেন ভারতীয় রেলকে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
সূত্রের খবর, বুধবার কলকাতা সুপার ফাস্ট ট্রেনের D3 কামড়ায় চড়েন জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট সমাজসেবী নব্যেন্দু মৌলিক। পথে কিশাণগঞ্জ থেকে এক পরিবার তাঁদের সন্তান নিয়ে ওই একই কামড়ায় ওঠেন। এরপর রামপুরহাট স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়তেই ট্রেনের জানলার কাচ কোনও ভাবে শিশুটির হাতে পড়ে যায়। সঙ্গে-সঙ্গে ব্যাথায় চিৎকার করে ওঠে সে। বাচ্চাটির আঙুল থেঁতলে গিয়ে শুরু হয় প্রচণ্ড রক্তপাত। সেই সময় ঘাবড়ে যায় তার বাবা-মা। ঠিক কী পদক্ষেপ করবেন তা ঠাউর করে উঠতে পারেন না তাঁরা। এদিকে, শিশুটিও তখন ব্যাথার চোটে কাতরাতে থাকে।
সেই দৃশ্য দেখে নব্যেন্দু বাবু পরিবারটিকে ১৩৯ নং এ অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। সেই সময় কোনও ভাবে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবারটি। তখনই নব্যেন্দু বাবু উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের টুইটার হ্যান্ডেলে ঘটনাটি লিখে পোস্ট করে দেন। কিছুক্ষণ পরেই হাওড়ার ডিআরএম-এর অফিসের তরফে পরিবারটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
এরপর ট্রেনটি বোলপুর স্টেশনে ঢোকার সঙ্গে-সঙ্গে চিকিৎসকের একটি দল নিয়ে উপস্থিত হন হাওড়া ডিআরএম-এর আধিকারিকরা। তাঁরা চিকিৎসার জন্য বাচ্চাটিকে রেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে চান।
কিন্তু পরিবারটির কলকাতায় জরুরি কাজ থাকার জন্য তাঁরা আর হাসপাতালে না গিয়ে ট্রেনেই প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানিয়ে চিকিৎসার বিষয়টি তাঁরা আবার মন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডেলে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন।
ঘটনায় নব্যেন্দু মৌলিক বলেন, ‘আমরা সাধারণত রেলের বিভিন্ন খারাপ পরিষেবা নিয়ে আলোচনা করে থাকি। কিন্তু সুরাহা করার আসল পথ খুঁজি না। আজ আমি টুইট করা মাত্রই রেল দফতরের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রেনটিকে প্রায় ২৫ মিনিট দাঁড় করিয়ে বাচ্চাটিকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করলেন। রেলের এই ধরনের পরিষেবা পেয়ে আমি সত্যিই আপ্লুত।’