জলপাইগুড়ি: ভরা বাজারে ব্যবসায়ীকে খুনের চেষ্টা। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে যে ঘটনা ঘটল, তাতে স্তম্ভিত ব্যবসায়ী মহল। জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর বাজারে তখন ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়। তারই মধ্যে এই ভয়াবহ ঘটনা। এমন দৃশ্য দেখে ক্রেতারা শিউরে ওঠেন। ভয়ে যে যার দোকানে ঢুকে পড়েন ব্যাবসায়ীরা। ঝগড়া এই পর্যায়ে পৌঁছবে, তা কেউ ভাবেনি। এক ব্যাবসায়ী অপর ব্যাবসায়ীর পেটে ঢুকিয়ে দিল ধারাল অস্ত্র। কোনও ক্রমে আহত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন বাজারেরই অন্য ব্যাবসায়ীরা।
শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর মোড়ের ওই বাজারে আচমকা দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। সঞ্জীব দেবনাথ নামে এক মাংস বিক্রেতার সঙ্গে এক সবজি ব্যবসায়ীর মধ্যে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে বচসা শুরু হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সেই সময় সবজি বিক্রেতা ওই মাংস বিক্রেতার পেটে আচমকা ধারাল অস্ত্র ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে অভিযুক্তের হাতে মার খেয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি চিত্ত রায়।
আহত সঞ্জীব দেবনাথের শরীর থেকে রক্ত বেরতে শুরু করে। এরপর ওই ব্যবসায়ীকে গুরুতর জখম অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পেট ও বুকের মাঝামাঝি জায়গায় অস্ত্রের কোপহ বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি চিত্ত রায় জানিয়েছেন, তাঁর দোকানের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কী কারণে বচসা হল, তা ঠিক জানা নেই চিত্ত রায়ের। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে তিনি সামাল দিতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সবজি ব্যবসায়ী তাঁকেও এরপরমারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনি নিজের দোকানের ভিতর ঢুকে পড়েন। এই দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে আগে থেকে কোনও সমস্যা ছিল কি না, জানা নেই ব্যবসায়ীদের।