WB Bana Sahayak Application: ঘাস কাটা, সাপ ধরা কাজ, বনসহায়কের ১৫০ শূন্যপদে আবেদন বি.এ-এম.এ পাশ ২৭ হাজার প্রার্থীর

Rony Chowdhury | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 31, 2023 | 7:56 AM

Government Job Application: জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি বন বিভাগে জমা পড়েছে প্রায় ২৭ হাজার আবেদন পত্র। যে চাকরির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ, সেখানে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন বি এ পাশ , এম এ পাশ করা তরুণ-তরুণীরা।

WB Bana Sahayak Application: ঘাস কাটা, সাপ ধরা কাজ, বনসহায়কের ১৫০ শূন্যপদে আবেদন বি.এ-এম.এ পাশ ২৭ হাজার প্রার্থীর
বন সহায়ক পদে নিয়োগ (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে বন সহায়ক (Bana Sahayak Application) পদে নিয়োগ। শূন্যপদ রয়েছে ১৫০টি আর আবেদন পড়ল প্রায় ২৭ হাজার। বন সহায়কদের জলপাইগুড়ি জেলায় আবেদনকারীদের লাইনে বহু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ তরুণ-তরুণী। জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি বন বিভাগে জমা পড়েছে প্রায় ২৭ হাজার আবেদন পত্র। যে চাকরির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ, সেখানে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন বি এ পাশ , এম এ পাশ করা তরুণ-তরুণীরা। আর যাকে ঘিরেই রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী এবং সরকারকে বিঁধেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

মঙ্গলবার কোচবিহার যাওয়ার পথে ধূপগুড়িতে ঝটিকা সফর সারেন বিজেপি নেতা। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন ,”পিএইচডি করা লোকেরা আবেদন করেছে। এটা দিদিমণির এগিয়ে বাংলা মডেল। ঘাস কাটতে হবে, সাপ ধরতে হবে সেই কাজের জন্য পিএইচডি করা লোকেরা আবেদন করছে। মুখ্যমন্ত্রী তাহলে কী করেছেন আপনারাই ভাবুন।”

মূলত, সরকারি চাকরি হলেও এই পদটি অস্থায়ী। কিন্তু সেই পদে কাজ পেতেই আবেদন করছেন বহু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ তরুণ-তরুণী। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার প্রথম বিভাগে পাশও করেছেন অনেকে। কেউ-কেউ পাশ করেছেন এসএসসি। এই ছবি জলপাইগুড়ি জেলায়। আর এই দেখে বন দফতরের অনেক কর্তাই স্তম্ভিত। উপযুক্ত চাকরির অভাব এবং বেকার সমস্যা এ রাজ্যে কোন স্তরে পৌঁছেছে সেটা এই আবেদন থেকে আরও এক বার স্পষ্ট হল বলে অনেকের মতে।

বস্তুত, জলপাইগুড়ি জেলার একটা বড় অংশ জঙ্গলে ঘেরা । তাই সব থেকে বেশি বন সহায়ক পদে লোক নেওয়া হবে এই জেলায় এমনটাই বন দফতর সূত্রে খবর। জলপাইগুড়ির ডিএফও বিকাশ বিজয় সে কথা মেনে নিয়ে বলেন,”এ দিন বিকেল পর্যন্ত অন্তত ২৭ হাজারেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে, আগের নিয়োগ অনুযায়ী জলপাইগুড়ি জেলায় ২৪ জন কর্মরত রয়েছেন। এরা মূলত জঙ্গলে নজরদারি ,টহলদারি সহ সব ধরনের কাজ করেন। ফিল্ডেই এদের মূলত কাজ করতে হবে।’’

বন সহায়ক পদে আবেদনকারী বি এ পাশ করা যুবক জিয়ারুল হক বলেন, “এইট পাশের জন্য চাকরি হলেও কী করব উপায় নেই কোথাও কোন চাকরি পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে বন সহায়ক পদের জন্য আবেদন করলাম। সাপ তো ধরতে পারি না। চাকরি পেলে ওটা সাহস করে শিখতে হবে।” আরও এক আবেদন কারি রাব্বানী হোসেন বলেন, “আমার বাবা টোটো চালক,খুব কষ্টে সংসার চালে। কোথাও কোন কাজ পাওয়া যায় না। পাশ করে শুধু বসেই রয়েছি। তাই বাধ্য হয়ে বন সহায়ক পদের জন্য আবেদন করেছি।”

Next Article