জলপাইগুড়ি: খবর ছিল আগেই। সেই মোতাবেক তল্লাশি চালাচ্ছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু লরিতে তাঁরা দেখেছিলেন বস্তা বস্তা ভাঙা কাচের বোতল। কিন্তু তার আড়ালেই পাচার হচ্ছিল আসল জিনিস।ভাঙা শিশি বোতলের আড়ালে পাচার হচ্ছিল বার্মা টিক। অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ধরn বনদফতর। গ্রেফতার ২ পাচারকারি। সোমবার সকালে বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তর কাছে গোপোন সূত্রে খবর আসে ৩১ নং জাতীয় সড়ক ধরে একটি ১৬ চাকার লরিতে মেঘালয় থেকে কলকাতায় পাচার করা হচ্ছে বার্মা টিক।
খবর পেয়ে তারা জাতীয় সড়কের দশ দড়গা এলাকায় ঘাঁটি গাড়েন। এরপর নির্দিষ্ট নম্বরের লরি এলে দাঁড় করিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। তল্লাশি চালাতে গিয়ে প্রথমে বনকর্মীরা দেখতে পান লরিটিতে রয়েছে প্রচুর বস্তা। তার ভিতর রয়েছে ভাঙা কাচের বোতল।
প্রথম বিষয়টি ওতটা বুঝতে পারেননি বনকর্মীরা। লরিটিকে ছেড়েই দিচ্ছিলেন তাঁরা। এরপর সঞ্জয় নির্দেশ দেন সব বস্তা গুলিকে নামাতে। বস্তা গুলি নীচে নামাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তাঁদের। দেখতে পান ভাঙা কাচের শিশির বস্তার আড়ালে থরে থরে সাজানো রয়েছে বহুমূল্য বার্মা টিক। বার্মা থেকে আসা সেগুন কাঠ ভাঙা কাচের বোতলের আড়ালে পাচার হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে কাঠ সমেত লরি বাজেয়াপ্ত করে ড্রাইভার ও খালাসিকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন সঞ্জয় দত্ত।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত কাঠের মূল্য আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকা। ধৃতেরা দু’জন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মঙ্গলবার দু’জনকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে বনদফতর।