জলপাইগুড়ি: কোনও ক্রমে উদ্ধার পেল এক নাবালক। রাখি পূর্ণিমায় বাড়ি যাবে বলে একাই স্কুলের হস্টেল থেকে রওনা হয়েছিল। কিন্তু পথে যে কী বিপদ ঘটবে, তা ভাবতে পারেনি সে। স্থানীয় মানুষজনের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। পরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও হয়। জানা গিয়েছে, রাখি পূর্ণিমার দিন বোনের হাত থেকে রাখি পরবে বলে স্কুলে কাউকে কিছু না বলেই বেরিয়ে পড়েছিল সে। এরপরই পড়ে যায় এক টোটো চালকের খপ্পরে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর এলাকায় ওই নাবালককে ঘোরাঘুরি করতে দেখেই সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাকে ডেকে নাম, ঠিকানা জিজ্ঞেস করেন তাঁরা। নাবালক জানায় বাড়ি যাওয়ার জন্য একটি টোটোতে উঠেছিল সে। সেই চালক মিষ্টি খাওয়ানোর নাম করে ওই জায়গায় নিয়ে যায় তাঁকে। এরপরই উধাও হয়ে যান টোটো চালক। কোথায় আছে, বুঝতে না পেরে চারপাশে ঘোরাঘুরি করতে থাকে ওই নাবালক।
স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ ও চাইল্ড লাইনকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চাইল্ড লাইনের সদস্যরা। স্থানীয় ব্যবসায়ী আনসারুল হক জানান, তাঁরই দোকানের সামনে দিয়ে নাবালককে ঘোরাফেরা করতে দেখেন তিনি।
পরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় চাইল্ড লাইনের তরফ থেকে। সেখান থেকে নাবালককে নিয়ে যান তার মা। ওই ছাত্রের বাড়ি ময়নাগুড়ির রামশাইতে। ছাত্রের মা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে জলপাইগুড়ি অসম মোড়ের কাছে একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। সেখানেই হস্টেলে থাকে। স্কুলের শিক্ষকরা তাঁকে জানিয়েছেন, শৌচকর্ম করার নাম করে ক্লাস থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেনি সে। তার মা আরও জানিয়েছেন, রাখী পূর্ণিমা ছিল অথচ কেই ওর বোনকে নিয়ে রাখী পরাতে আসেনি। সে জন্যই অভিমানে বাড়ি চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিল সে।