ধূপগুড়ি: ধূপগুড়িতে বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য এবার ইস্তাহার প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। কোনও উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণত এমন দৃশ্য দেখা যায় না। তাও আবার শাসক দলের ক্ষেত্রে। কারণ, অতীতে উপনির্বাচনের ট্রেন্ড সাধারণত শাসক দলের পক্ষেই যেতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। যদিও, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ছবিটা বদলে গিয়েছিল। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জয়ী হয়েছেন সাগরদিঘিতে। পরে অবশ্য তিনি যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। কিন্তু, রাজ্য রাজনীতিতে সাগরদিঘি উপনির্বাচনকে মডেল হিসেবে তুলে ধরতে শুরু করেছে বাম-কংগ্রেস শিবির। তাই কি এবার ধূপগুড়ির উপনির্বাচনকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে শাসক দল? একটিমাত্র আসনের উপনির্বাচন ঘিরে তৃণমূল ইস্তাহার প্রকাশ ঘিরে ইতিমধ্যেই এমন প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করে দিয়েছে।
ইস্তাহারে মূলত সাতটি বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন ধূপগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। কী কী বিষয় বলা হল সেখানে? পৃথক ধূপগুড়ি মহকুমা গঠন, ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের মানোন্নয়ন, খানা-খন্দ বিহীন রাস্তা, পরিষ্কার-স্বচ্ছ জলের সরবরাহ, বর্জ্র ব্যবস্থাপনা, কৃষকদের জন্য ন্যায্য মূল্যের বাজার ও দুগ্ধ ব্যবসার মানোন্নয়ন। এমন সাতটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের জন্য ইস্তাহার প্রকাশ করা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী যেমন বলছেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনেই উপনির্বাচনে ইস্তাহার প্রকাশ করছে তৃণমূল। অতীতে যে তৃণমূলের এমন কোনও রেকর্ড নেই, সেই দাবিও করছেন তিনি। তৃণমূলের উপনির্বাচনের ইস্তাহার নিয়ে প্রশ্ন শুনেই বললেন, ‘তৃণমূল কোনও উপনির্বাচনে ইস্তাহার বের করেছে, এমন রেকর্ড কোথাও আছে নাকি! এই রেকর্ড নেই তো। হঠাৎ বের করল কেন? কারণ হাল খুবই খারাপ।’