জলপাইগুড়ি: স্ক্রাব টাইফাস-এর প্রাদুর্ভাব ক্রমশ বাড়ছে। গত বছর জলপাইগুড়ি শহরে যত সংখ্য়ক রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল, এবছর সেটা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তাই জেলা জুড়ে ক্রমশ বাড়ানো হচ্ছে সতর্কতা। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বিশেষভাবে সতর্ক করছেন সাধারণ মানুষকে। চলতি মাসে জলপাইগুড়ি শহর ও শহর লাগোয়া গ্রামে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত দুই রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এক যুবকের পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছে এক আট বছরের কিশোরীও। চিকিৎসার পর সুস্থ রয়েছেন তাঁরা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর স্ক্রাব টাইফাস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৯। মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। কিন্তু চলতি বছরে নভেম্বর মাস পর্যন্ত স্ক্রাব টাইফাস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০-এ। অর্থাৎ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।
ঝোপঝাড় থেকে ইঁদুর কিংবা ছুঁচো জাতীয় প্রাণীর মাধ্যমে জলপাইগুড়ি জেলায় ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে স্ক্রাব টাইফাস। তাই নিজেকে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি এলাকাকেও পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য দফতরের পতঙ্গবিদ ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
সাধারণত পোকা কামড়ানোর পর চামড়ার উপর গাঢ় লাল কামড়ের চিহ্ন দেখা যায়, যা অনেকটা ছ্যাঁকা লাগার মতো। সঙ্গে আসে জ্বর ও খিঁচুনি। মাথা ও গায়ে ব্যাথাও হয়। এগুলোই মূলত স্ক্রাব টাইফাসের লক্ষণ।