Rat Fever: ইঁদুর জ্বরে আক্রান্ত বেড়ে ১৬৮, ‘একই বেডে দুজন রোগী কেন?’ বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতেই তৃণমূল বলছে ‘পরিষেবা তো পাচ্ছে’
Rat Fever: গ্রামে এখনও জন্ডিস আক্রান্তের ছড়াছড়ি। কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের। ভয় বাড়ছে আশপাশের ৮ গ্রামে। চিকিৎসা নিতে রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীর ভিড় বেড়েই চলেছে।

জলপাইগুড়ি: একটানা বেড়ে চলেছে উদ্বেগ। আরও বাড়ছে ইঁদুর জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। এরার নতুন করে আক্রান্ত আরও ১৫ জন। হাসপাতালে একই বেডে একাধিক রোগী। হাসপাতালে বাড়ছে ভিড়। গত কয়েকদিনে রাজগঞ্জের চেকর মারি গ্রামে লেপ্টোস্পাইরোসিস বা ইঁদুর জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৫৩ জন। এবার এক লাফে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬৮ তে।
অন্যদিকে গ্রামে এখনও জন্ডিস আক্রান্তের ছড়াছড়ি। কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের। ভয় বাড়ছে আশপাশের ৮ গ্রামে। চিকিৎসা নিতে রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীর ভিড় বেড়েই চলেছে। এক বেডে একাধিক রোগী রেখে চিকিৎসা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিরোধীরা। পাল্টা স্বাস্থ্য দফতরের পাশে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে সিপিএমের তরফে ইতিমধ্যেই জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
বিজেপির প্রাক্তন জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলছেন, “হাসপাতালের দৈন্যদশা দেখে সকলে অবাক হয়ে যাচ্ছে। একই বেডে দু’ তিনজন করে থাকতে হচ্ছে। মেঝেতেও থাকতে হচ্ছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র বলছেন, “মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। আমরা মানুষকে বলছি প্রশাসনের সঙ্গে যে ভাষায় কথায় কথা বলা দরকার সে ভাষাতেই কথা বলুন। জেলা প্রশাসন যে অপদার্থতার পরিচয় দিয়েছে তাকে আমরা ধিক্কার জানাই।” তবে তৃণমূল জেলা সম্পাদক বিকাশ মালাকার বলছেন, “রোগ কমছে, স্বাস্থ্য দফতর কমছে। হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে। একটা বেডে একজন না দুজন আছে সেটা বড় কথা নয়। পরিষেবা তো পাচ্ছে।”
