কোচবিহার: উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টি। তিস্তায় জারি লাল সতর্কতা। সিকিম পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জের। সোমবার সকালে তিস্তা ব্যারেজ থেকে ২৩৮৩.৪৬ কিউসেক জল ছাড়ায় নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। ফলে তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সঙ্কেত জারি করেছে সেচ দফতর। একই সঙ্গে তিস্তা নদীর সংরক্ষিত এলাকায় মূলত শহর এলাকায় জারি রয়েছে হলুদ সঙ্কেত।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী চার পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। আগামী ২১ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গে খানিকটা কমবে। কলকাতায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হবে আগামী পাঁচ দিন। সোমবার কলকাতায় একটু বেশি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
একই ভাবে ভুটান পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে জল স্তর বেড়েছে জলঢাকা নদীতে। নদীর অসংরক্ষিত ও সংরক্ষিত উভয় এলাকায় হলুদ সঙ্কেত জারি করেছে সেচ দফতর।
গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ
১) জলপাইগুড়ি – ০৭.৬০ মিমি
২) আলিপুরদুয়ার – ০৫.০০ মিমি
৩) কোচবিহার – ০৪.৯০ মিমি
৪) শিলিগুড়ি – ১০৫.৪০ মিমি
৫) হাসিমারা- ২১.৬০ মিমি
৬) বানারহাট – ৪৫.০০ মিমি
৭) তুফানগঞ্জ – ০৫.৪০ মিমি
ডুডুয়া এবং গিলান্ডি নদীর জল উপচে গ্রামে ঢুকেছে। তোর্সার ব্যাপক ভাঙনে বিপন্ন ১৫ টি পরিবার। ইতিমধ্যে ওই পরিবার ছোট মেচিয়াবস্তী এসএসকে সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। তোর্সা নদীর ব্যাপক ভাঙনে ভুটান সীমান্ত লাগোয়া কালচিনি ব্লকের ছোটো মেচিয়াবস্তি এলাকায় নদী গর্ভে চলে গিয়েছে চারটি ঘর।