Jalpaiguri: নিঝুম রাতে জঙ্গলের রাস্তায় ওটা কী? দুরুদুরু বুকে কাছে যেতেই আঁতকে উঠলেন আমজাদ
Jalpaiguri: আমজাদবাবু জানাচ্ছেন, ওই পরিস্থিতিতে বেশ ভয়ও লাগছিল তাঁর। কাকে খবর দেবেন বুঝতে না পেরে ফের গাড়ি চালিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হন। বন কর্মীদের নম্বরও ছিল না তাঁর কাছে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। সূত্রের খবর, বাঁচানো যায়নি হরিণটিকে।
মেটেলি: একদিন আগেই আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়া ও কালচিনি স্টেশনের মধ্যে মালগাড়ির ধাক্কায় এক হস্তিশাবক-সহ তিন হাতির মৃত্যু হয়েছে। এবার দ্রুতগামী গাড়ির বলি নিরীহ হরিণ। চাপড়ামারি জঙ্গলের বুক চিড়ে চলে গিয়েছে নাগরাকাটা থেকে চালশাগামী জাতীয় সড়ক। এই জঙ্গলেই অবাধ বিচরণ নানা বন্যপ্রাণীর। তাই চালকদের সে কথা মনে করিয়ে দিতে উত্তরবঙ্গের আর পাঁচটা জঙ্গলের মতোও এখানেও রাস্তার পাশে লাগানো সাইন বোর্ডের মাধ্যমে চালকদের সে কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। গাড়ির গতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সে বিষয়ে করা হয় সতর্ক। কিন্তু, তাতেও যে বিপদ সর্বদা এড়ানো যাচ্ছে এমনটা নয়।
সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাতে এই রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিলেন ধূপগুড়ির বাসিন্দা আমজাদ খান। খুনিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় আসার পর দেখেন রাস্তার ঠিক পাশেই পড়ে রয়েছে একটি হরিণ। গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত তিনি ছুটে যান হরিণটির কাছে। কাছে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছে একটা আস্ত চিতল হরিণ। কী করবেন বুঝতে না পেরে নিজের কাছে থাকা জল খাওয়ানোর চেষ্টা করেন হরিণটিকে। কিন্তু, অত রাতে কাকে খবর দেবেন, কী করবেন কিছুই বুঝতে না পেরে ফের গাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। চারপাশে তখন নিঝুম অন্ধকার।
আমজাদবাবু জানাচ্ছেন, ওই পরিস্থিতিতে বেশ ভয়ও লাগছিল তাঁর। কাকে খবর দেবেন বুঝতে না পেরে ফের গাড়ি চালিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হন। বন কর্মীদের নম্বরও ছিল না তাঁর কাছে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। সূত্রের খবর, বাঁচানো যায়নি হরিণটিকে। তাঁর দাবি, যে ভাবে রাস্তা দিতে দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করে তাতেই ঘটেছে বিপদ। হরিণটাকে দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় দ্রুত গতিতে আসা কোনও গাড়ির ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে চিতল হরিণটির।